সন্দেহভাজন এ সব রোগীদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।যশোর,মাগুরা ও নড়াইল জেলা থেকে।এই পরিস্থিতিকে ভয়ানক ভয়াবহের কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও দেশের শীর্ষস্থানীয় অণুজীব বিজ্ঞানী ডাক্তার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
যবি প্রবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ডাঃইকবাল কবির জাহিদ এ প্রতিবেদককে বলেন,গতকাল ল্যাবে ১৬১ জন নমুনা পরীক্ষা করা হয়।এর মধ্যে ৬১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।অর্থ্যাৎ পরীক্ষিত নমুনার প্রায় ৪৪ শতাংশ ৯১ পজেটিভ।
গতকাল যশোর জেলায় ১২৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪টি এবং নড়াইলে ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচটিকে পজেটিভ বলে সনাক্ত করা হয়।
যশোরাঞ্চলে সার্বিক পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহের কাছাকাছি ‘চলে গেছেন বলে ধারণা করছেন বিশিষ্ট অণুজীব বিজ্ঞানী প্রফেসর ডাক্তার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলছেন,এই হারে করোনার বিস্তার হতে থাকলে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ন্দ্রুত কোলাপস করবে।ইতিমধ্যে ঢাকা শহরে করোনা রোগীর কেবিন মেলাতে পারছেন না।অর্থনৈতিক ক্যাপাসিটি থাকা সত্বেও চিকিৎসার আওতায় আসতে পারছে না মানুষ।ফলে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই। অনেকের মুখে মাস্ক নেই।এখনও মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
গত মাসে আমরা বেপরোয়াভাবে কাটিয়েছি।সরকার দেরিতে হলেও লকডাউন দিয়েছে।কিন্তুু লকডাউন তোলার জন্য ব্যবসায়ীমহল চাপ দিচ্ছেন ও আন্দোলন করছে।দোকানীরা এমন কথা বলছেন না যে, সামাজিক দুরত্ব বজায় ও মাস্ক পরিধান করে চলুন।সবকিছু ওপেন করে দিলে দেশের পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক হবে সেটা সাধারণ জনগণ বুঝতে চাইছে না।নিজেরাতো মানছে না আবার অপরকেও স্বাস্থ্য বিধি সস্পর্কে প্রচার – প্রচারনাও চালাচ্ছেন না।
গতকাল পযর্ন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে,বিকাল পাঁচটা পযর্ন্ত যশোর জেলায় মোট পাঁচ হাজার ৪৪৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে।এক বছর সময় জুড়ে মোট ৩১হাজার ৯৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া যায়।
শনাক্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ৮৯২জন।মৃত্যু বরণ করেছেন ৬৫ জন।
Leave a Reply