মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার আজ ১৯ মে ২০২২ সাল সকাল অনুমানিক ১১ ঘটিকায় বেজগাঁও ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডে বড় বেজগাঁও স্থানীয় বাসিন্দা মো.শাজাহান ঢালীর দ্বিতীয় মেয়ে স্বর্ণা আক্তার (২৩) নিজ স্বামী মো.রনি (৩২) মৃত পিতা নূর ইসলাম ছেলের নির্যাতনের করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে পরিবারের সদস্যদেরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মৃত স্বর্ণা আক্তার (২২) পিতা মো.শাজাহান ঢালী (৫৭)বলেন গতকাল আমার মেয়ে আম খেতে চেয়ে ছিল।আমি আম নিয়ে আমার মেয়ের জামাতা মো.রনি (৩২) বাড়িতে যাই কামরাঙ্গীরচর,ঢাকা গিয়ে পৌঁছনোর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি আমার মৃত্যু হয়েছে।মেয়ের শ্বশুরবাড়ির গিয়ে দেখি।মেয়ের শয়ন কক্ষে গলায় নিজ ওরনা দিয়ে সিলং ফ্যানের ঝুলানো অবস্থান।তাৎক্ষণিকভাবে আমি পুলিশের সাহায্য নিয়েছি। পুলিশ এসে মৃত দেহ ঝুলান্তে থেকে নিচে নামিয়ে উদ্ধার করে।পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতালে( মিডফোর্ট) মর্গে প্রেরণ করে।আমি লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারি মেয়ের স্বামী প্রাঋ ঝগড়া করতে।তিনি আরো বলেন?আমার মেয়ে মৃত্যু বিষয় সম্পূর্ণ সাজানো। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন সবায় মিলে আমার মেয়ে কে হত্যা করেছে।আগে থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে নির্যাতন করতে। আমি সমাধানে চেষ্টা করতাম।
মেয়ের মা নাজমা বেগম( ৪২) বলেন গত সপ্তাহে আমাদের মেয়ে জামাই মো.রনি মেয়েকে এসে নিয়ে যায়। আজ আমার মেয়ে লাশ হয়ে ফিরে এসেছে। আমার মেয়ে খুবই ভালো শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
মৃত স্বর্ণা আক্তারের আপন ছোট বোন রুপা আক্তার বলেন,আমার বোনের জামাই মো.রনি পরকীয়া সাথে জড়িত ছিলেন।বিয়ের পর সন্তান জন্মের পর থেকে আমার বোনের প্রতি অনীহা লক্ষ্য করেছি।আমার বোন আত্মহত্যা করেনি।হত্যা করা হয়েছে।আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে মোবাইল ফোনে মো.রনি( ৩২) আপন ছোট ভাই মো.রবিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি সঠিক নয়।তবে ময়নাতদন্ত সঠিক তথ্য জানা যাবে।তবে পরিবারের কলহের ঘটনা তিনি শিকার করেন।এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে চাইনি।
আরো জানা যায় মো.রনি (৩২)পিতা মৃত নুরুল ইসলাম,মাতা রওশনারা বেগম তাদের স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম ও পোস্ট কুড়িগাও,থানা লৌহজং, মুন্সীগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা বাসা নং১০৩১,রোড নং ০৪ কারুল ইসলাম কমিটি সেন্টার,পাশের গলি,ফল বিক্রায়তার বাড়ী,উপজেলা থানা কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।
কামরাঙ্গীরচর থানা সাব ইন্সপেক্টর( নিয়ন্ত্র) মোস্তাকিম কবির জানান, মো.রনি( ৩২) বিরুদ্ধে ৩০৬ পেনাল কোড ১৮৬০ মামলা নং৩৪ আত্মহত্যা প্ররোচনা অপরাধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সঠিক তদন্ত মাধ্যমে স্বর্ণা আক্তার (২২) মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত করা হবে।প্রকৃত অপরাধি কে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনা সাথে জড়িতদের আইনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply