1. admin@dwiptv.com : dwiptv.com :
  2. dwiptvnews2121@gmail.com : sub editor : sub editor
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন

হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে অতি সুলভ দর্শন আবাসিক পাখি টুনটুনি!

সফিকুল ইসলাম (লালমনিরহাট প্রতিনিধি)
  • আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১
হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে অতি সুলভ দর্শন আবাসিক পাখি টুনটুনি!
হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে অতি সুলভ দর্শন আবাসিক পাখি টুনটুনি!

প্রকৃতির মনোরম সৌন্দর্যের জেলা গুলির মধো অন্যতম একটি জেলা হলোঃ-বরগুনা জেলা। কতই না সুন্দর এই বরগুনার জেলার প্রকৃতির পরিবেশ গাছ পালা তরুলতা আর চার পাশের নদ-নদী এবং খাল বিল নিয়ে এই পরিবেশ,এই পরিবেশের মধো প্রধান আকর্ষণ হলো পাখ পাখালি, পাখিদের মধো কতই না নাম জানা অজানা পাখি রয়েছে তার বেতরে সবার চেনা অতি পরিচিত পাখি হলো টুনটুনি পাখি।,এই অতি সুলভ দর্শন আবাসিক পাখি টুনটুনি।

 

দেশের এমন কোনো গাঁও-গ্রাম বা শহর নেই, যেখানে এদের সাক্ষাত পাওয়া যাবে না। খোদ রাজধানীতেও দেখা মেলে। ছেলে-বুড়ো সবাই প্রজাতির সঙ্গে পরিচিত। নানা কারণেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণটি হচ্ছে আমাদের শিশুসাহিত্যে ‘টুনটুনি’ পাখি পাকাপোক্তভাবে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। ছড়া-গল্প-গান কোথায় নেই টুনটুনি? শুধু কি তাই? এরা আমাদের বসতঘরের গা-ঘেঁষা ঝোপজঙ্গলে সব সময়ই লাফিয়ে বেড়ায়। কিংবা নাচানাচি করে লেজ উঁচিয়ে। গান শোনায় ‘টিন-টিন-টিন-টিন বা কিট-কিট-কিট-কিট-’ আওয়াজ করে। মায়াবী চেহারা।

 

স্বভাবে ভারি চঞ্চল। স্থিরতা নেই খুব একটা। যেন একদণ্ড বসার সুযোগ নেই কোথাও। এই আছে তো এই নেই। তবে যেখানেই থাকুক না কেন এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। জোড়ের পাখিটি সামান্য দূরে থাকলেও ডাকাডাকি করে ভাবের আদান-প্রদান চালিয়ে নেয়। প্রজনন মৌসুমে পুরুষ পাখি নানা কসরত করে স্ত্রী পাখির মন ভোলাতে। বাসা বাঁধে বেশ পরিপাটি করে। দুটি পাতাকে একত্রিত করে ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে বাসা বাঁধে। অনেকটা দর্জির কাপড় সেলাই করার মতো। ইংরেজি নামকরণেও সেই রকমটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এ পাখির প্রধান শত্রু বাড়ির বিড়াল। মাটির কাছাকাছি বাসা বাঁধার কারণে বিড়াল সে সুযোগটি নেয়।

 

বাঁশ গাছ,তেঁতুল গাছ, বুনো গাব গাছে, গন জঙ্গলে ঘরের কোনে বাহির পাশে এদের বাসা দেখতে পাওয়া যায়। তথাপিও দেশে এদের অবস্থান সন্তোষজনক। কারণ এরা বিড়াল দ্বারা আক্রান্ত হলেও মানুষ দ্বারা নির্যাতিত হয় না খুব একটা। মানুষ এদের যথেষ্ট মায়া করে। তবে উষ্ণ শুষ্ক আর্দ্র তাপমাত্রা বা বৈষয়িক কারনে প্রকৃতিক থেকে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে৷ আগের মতো আর দেখা যায় না,বছরে দুই বার চোখের সামনে পরলেও পরতে পারে। গ্রাম গায় বা সহর অঞ্চলেও আর আগের মতো দেখা মেলেনা এই টুনটুনি পাখির।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

আমাদের এন্ড্রয়েড এপস আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন।

Developer By Zorex Zira