গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার প্রবেশদ্বারসহ পুরো মাঠটিতে বড় বড় কাঠের স্তুপ রয়েছে। কাঠের স্তুপ টপকিয়ে মাদ্রাসা ভবনে গিয়ে কথা হয় ষষ্ঠ শেণির শিক্ষার্থী নাসিম ইকবাল, তাসমিয়া খাতুন, দশম শ্রেণির আবদুর রহমান, আছিয়া খাতুন, শিল্পী খাতুনসহ অনেকের সাথে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, প্রায় দু’বছর যাবত মাদ্রাসার প্রবেশদ্বারসহ মাঠটিতে বড় বড় কাঠের গুড়ি রাখায় তারা খেলাধুলা করতে পারছে না। এছাড়া প্রবেশদ্বারে কাঠের গুড়ি থাকায় মাদ্রাসায় আসা যাওয়া দুরুহ হয়ে পড়েছে। সহকারি সুপার ইসমাইল হোসেন, সহকারি শিক্ষক আবদুর রশিদ, হালিমা সুলতানা, আইসিটি শিক্ষক নুরুন্নাহার, এবতেদায়ী প্রধান মাহাবুবুর রহমানসহ অন্য শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন কাঠের মজুদের কারণে মাদ্রাসার কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় দু’বছর যাবত এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম, ইসাহাক আলী, লুৎফর রহমান, আইয়ুব হোসেনসহ ৬/৭ জন মাদ্রাসার মাঠটি দখল করে কাঠের মজুদ করেছেন।
এর মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হয় ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের সাথে। শীঘ্রই কাঠ সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি জানান, করোনার সময়ে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে মৌখিকভাবে জানিয়ে তিনি কাঠ রেখেছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সুপার আবদুস সামাদ ও ম্যানেজিং কমিটির (এডহক) সভাপতি তরিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়ভাবে দলাদলি থাকায় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মাঠ থেকে কাঠ সরিয়ে নিতে কাঠের মালিকদের ইতিমধ্যে নোটিশ করা হয়েছে। মশি^মনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, কাঠ অপসারণের জন্য বার বার তাগিদ দেওয়া হলেও ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, বিষয়টি এখনো তাকে কেউ অবহিত করেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করা হলে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply