ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে খেতাবপ্রাপ্ত, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাস সমবায় সমিতি লি: সিএজি থেকে স্টিকারটি ব্যবহার করে মাসে লাখ লাখ টাকা বিটমানি প্রশাশনের কোন ভূমিকা নেই। দেখার যেন কেউ নেই। সিএজি গাড়ির মালিকরা এই স্টিকার লাড়িয়ে দেদারছে বহন করতে যাত্রী । ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে চলাচল করছে রঙ্গসাইট দিয়ে পুলিশ দেখলও যেন না দেখার বান। খেতাবপ্রাপ্ত, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাস সমবায় সমিতি লি এমন নাম শুনলে বা দেখলে যে কারো মায়া তৈরি হবে দেখাবে সহমর্মিতা করবে সমীহ আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সেপ্রেসওয়েতে চলছে নিরব চাঁদাবাজী। এমন নামের স্টিকার ব্যবহার করে চলতে দেখা যায় সিএনজি যার সামনে ছোট্ট একটি স্টিকার আর এই স্টিকারটিতে লেখা খেতাবপ্রাপ্ত, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাস সমবায় সমিতি লি: আর এই স্টিকারটি ব্যবহারের জন্য মাসে বিটমানি (চাঁদা) দিতে হয় গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা। আর সড়ক মহাসড়কে পুলিশি ও পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানি থেকে রক্ষার্থে মাসিক এক হাজার টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায় একটি স্টিকার। এ যেন গাছ লাগিয়ে আজীবন ফল ভোগ করার অবস্থা।
গণপরিবহন সিএনজি সামনে খেতাবপ্রাপ্ত, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাস সমবায় সমিতি লি: নামের লোগ লাগানো থাকে চটকদার স্টিকার। স্টিকার লাগানো এই গাড়িগুলো দেখলে সড়কে দায়িত্বরত সার্জেন্ট এবং পরিবহন শ্রমিকরাও সমীহ করতে দেখা যায়। এই রহস্য অনুসন্ধানে নামলে বেরিয়ে আসে অন্তরালের খবর।
আসলে প্রশাসনিক হয়রানি এবং পরিবহন শ্রমিকদের চাঁদা না দেয়ার অভিনব কৌশল। তাই সতর্ক স্বরূপ প্রতিকী হিসেবে এই স্টিকার সাঁটানো হয়ে থাকে। সিএনজি মালিকপক্ষ ব্যবহার করে সড়কপথে নিজেদের গাড়িগুলো নিয়ে নির্ঝঞ্জাট থাকতে । বিপরীতে দেওয়া হয় মাসিক “বিটমানি”। অর্থাৎ গাড়িপ্রতি একহাজার টাকা হারে।
এমনকি ট্রাফিক বিভাগও যেনো অসহায়। এ বিষয় সম্পর্কিত তথ্যাদি জানতে গত কয়েকদিন ধরে অনুসন্ধানে যা জানা গেলো, তা শুনে আক্কেলগুড়ুম অবস্থা!
নির্ভযোগ্য একটি সূত্রের দাবি, এই স্টিকার ব্যবহার করে ঢাকা থেকে মাওয়া মহাসড়কে যাওয়া-আসা করে এমন অন্তত ৫’শতাধিক সিএনজি নিয়ন্ত্রণ করে খেতাবপ্রাপ্ত, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুন:র্বাসন সমবায় সমিতি লি: । রেজিস্ট্রিভুক্ত ইউনিয়নটি তাদের নিয়ন্ত্রিত গাড়িগুলো দেখভাল করার পাশাপাশি প্রতি গাড়ি থেকে মাসে এক হাজার টাকা করে উত্তোলন করে। আর এই সংগঠনটির নাম ভাঙ্গিয়ে জাতিয় পার্টির খোকন নামের এক নেতা উঠান স্টিকারের চাঁদার ।
তবে স্টিকার ব্যবহীত সিএনজি চালকরা ভয়ে সাফাই গাইলেন স্টিকার সরবরাহকারী সংগঠনটির। তারা সাফাইফের পাশাপাশি আরো বলেন পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজীর হাত থেকে রক্ষার্থে তারা এই স্টিকার ব্যবহার করেন হয়রানির নিরাপত্তা পাওয়া যায়। মাসে এক হাজার টাকা চাঁদা নিলেও কোনো চালাক বিপদে পরলে বা দূর্ঘটনার কবলে পরলে আর্থীক সহায়তা করেন সংগঠনটির পক্ষ হতে তাই অনেকটা বাদ্ধ হয়েই স্টিকার ব্যবহার করে মাসে এক হাজার টাকা দিতে হয় বলে দাবী তাদের।
এসব অভিযুক্ত খেতাবপ্রাপ্ত, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাস সমবায় সমিতি লি এর কর্তাব্যক্তিদের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করেও দেখা মিলেনি তাদের।
তবে জাতীয় পার্টি নেতা খোকনের সহকারী স্টিকার বিক্রেতা রবিউল নামের একজন বলেন,প্রতিটি স্টিকার ৮শ টাকা করে বিক্রি করেন। আর মাসে উত্তোলন করা হয় এক হাজার টাকা করে।
এ বিষয় জানা নেই এমন দাবী দায় সারলেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আফজাল হোসেন। তিনি জানান, বিষয়টি আমার নলেজে নাই। চাঁদাবাজির বিষয়টিও আমি জানি না। স্টীকার লাগানো গাড়িগুলো জুড়াইন হইয়া মাওয়া ঘাটে আসে। গাড়িগুলোর কোন বিষয় আমার জানা নেই।
Leave a Reply