করোনার সংক্রমণ রোধে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এ লকডাউন চলবে। এ বছরের দ্বিতীয় ধাপে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এরই ধারাবাহিগতায় আজ ১৮ এপ্রিল রোববার সরকারি বিধিনিষেধ রক্ষার্থে লাকসাম থানা পুলিশের নেতৃত্বে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়। বিশেষ করে অপ্রয়োজনে যারা ঘোরাঘুরি করছেন তাদের কে মালার আওতায় নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকে লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন সড়কে উপজেলার প্রশাসনের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সড়কে নেই কোনো গণপরিবহন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তৎপর রয়েছে। বসিয়েছেন চেক পোস্ট। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তায় বের হবার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সাথে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলায় স্কুল, মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপননকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যায়, কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না। এবারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক লাকসামকে সর্বাত্মকভাবে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারি নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত মাঠে থাকবে পুলিশ, বলে জানান লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সার্কেল এসপি মো: মইদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এ দফায় সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোন ভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
Leave a Reply