রাক্ষসী পদ্মার ছোবলে আতঙ্কে দিশে হয়ে পড়েছে চৌষার বাসি। মাত্র কয়েক দিন আগে পূর্ব হাসাইল গ্রামটি ভেঙ্গে শেষ করেও শান্ত হয়নি সর্বনাশা পদ্মা। একের পর এক মানুষের বসতভিটা সহ মসজিদ, মন্দির স্কুল গিলে খাচ্ছে। কামারখাড়া ইউনিয়নের চৌষার গ্রামটি পদ্মার আক্রমনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ পদ্মায় ভাঙ্গার কারনে এক একটি সময় কাটছে ভয় আর আতঙ্কে মধ্য দিয়ে।
কয়েক দিন আগে পূর্ব হাসাইলে পদ্মার ভাঙ্গন দেখা দিলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাত শেষ না হতেই জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু চৌষার গ্রামটি একটু একটু করে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। নদী বাধের এখনো কোন ব্যবস্থা না করায় হতাশায় পড়েছে পদ্মার পাড়ে বসবাস করা মানুষগুলো। আতঙ্কে পদ্মার পাড়ে বসবাস কারিরা নিজেদের ঘর বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা জমির উদ্দিন বলেন- রাতে হঠাৎ নদী ভাঙ্গন দেখা দেয় এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ইতিমধ্যে নদীর আশেপাশে থাকা অনেক জমি এবং ১৫টি বসতভিটা ভেঙ্গে নদী গর্ভে চলে গেছে।
এমতাবস্থায় ভাঙন নিয়ন্ত্রণে ভাঙা স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হলে কিছুটা হলেও ভাঙ্গা থামতো বলে আশা করছি, ভাঙ্গার আতঙ্ক কমে যেত। কামারখারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন হালদার জানান, পদ্মার ভয়াবহ ছোবলে মানুষের বসতভিটা ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জনজীবন হুমকির মধ্যে দিয়ে পার করছে।
Leave a Reply