পরশুরামের “সাতকুচিয়া” গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মৃত আবুল হাসেম মিয়ার বড় ছেলে লিখন আহম্মেদ এর স্ত্রীকে তাহার মাতা-খাইরুন নেছা, দেবর- মোঃ রাসেল, বোন-নুর নাহার, হাছিনা ও সামছুন নাহার, বোনের স্বামী -আবুল কাশেম, ভাগিনা- মোহাম্মদ হোসেন কতৃক দীর্ঘ দিন যাবত যৌতুকের জন্য নানা ভাবে শারিরীক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করে আসিতেছে।
বিয়ে হওয়ার ৫ বছর যাবত অনেক সময় মেয়ের বাবা- মা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সব সময় টাকা পয়সা জিনিসপত্র দিত যাতে তাদের মেয়ে সুখে থাকে। মেয়ে ও সমাজ সংসারের লোক লজ্জার ভয়ে নিরবে সব সহ্য করে আসছে। মেয়েকে শশুর বাড়ির লোকজন বলে টাকা না দিলে তালাক দিয়ে দিবে। মেয়েকে পরে মেরে ফেলার জন্য সাপ নিয়ে এসে গোপনে মুরগীর খোয়াড়ে রেখে তাকে সাপ দিয়ে দংশন করায় গত ০৭-০৮-২০২১ইং, যার ছবি দেওয়া আছে, সাপ দিয়ে দংশনের পর তাকে মেরে ফেলার জন্য গ্রাম্য ওজার কাছে নিয়ে দায়িত্ব শেষ করে দুপুুর ২টার সময় সাপে কামড়ালে তারা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়নি ।
পরে মেরের মা খবর শুনে রাত ১০ টার সময় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বলে মেয়ে বেচে থাকার সম্ভাবনা নাই, তবুও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে একটু ভালো হয় কিন্ত মেয়ে বোবা হয়ে যায় । ডাক্তাররা জানান মানসিক নিযাতনের ও সাপের বিষের কারণে এই অবস্থা। আর কোন দিন কথা হয়তো বলবেনা। মেয়ের এই বিপদের দিনে তার স্বামী, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য এক টাকাও দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়।
মেয়েকে নয়দিন পর হাসপাতাল থেকে এনে বাসায় অক্সিজেন দিয়ে শোয়াই রাখার পর মেয়ের বাবার বাড়িতে ছেলের মা, বোন, বোনের স্বামী , বাগিনা, বাগনি ও আরো সন্ত্রাসী নিয়ে এসে মেয়ের বাবার নতুন ফাঁকা বাড়ি থেকে মেয়েকে এসে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চায় কিন্তু মেয়ের মা, বোন, জেঠা বাধা দিলে তাদের মারধোর, গালাগালি করে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে , পরে এলাকাবাসী তাড়াদিলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
Leave a Reply