যশোর শার্শা উপজেলায় নিজামপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা রোগ ব্যাধি লাঘবের জন্য পোড়পাড়া বাজারস্থ এলাকায় ৫ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মাণ হওয়া পোড়পাড়া ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালটি আট বছর আগে নির্মিত হলেও ইউনিয়নবাসী আজও আলোর মুখ দেখার সৌভাগ্য হয়নি।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, হাসপাতালটি দীর্ঘদিন আগে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও অজ্ঞাত কারণে মা ও শিশু হাসপাতালটি আজও চালু হয়নি,এতে করে ইউনিযনবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দীর্ঘদিন।লক্ষণপুর,ডিহি নিজামপুর ইউনিয়নসহ উত্তর শার্শাবাসী গর্ভবতী মা ও শিশুদের সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যায়ে নির্মাণ করা এ হাসপাতালটি দীর্ঘদিন চালু না হওয়ায় শিশু ও গর্ভকালীন মায়েদের শার্শা অথবা যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।অনেক মা পথিমধ্যে ডেলিভারির ঘটনা ঘটেছে। আবার অনেকে মৃত্যুর কবলে নিপোতিত হয়েছেন।
এলাকার সচেতন মহল দাবি করে বলেছেন, এলাকায় হাসপাতাল আছে নামে মাত্র কিন্তু সেবার মান বলে কিছুই নেই।কবে যে এই হাসপাতালের আলোর মুখ দেখবে তা নিয়েও এলাকায় গুঞ্জন চলছে জনসাধারণের মুখে মুখে।এদিকে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটলের নমুনা দেখা গেছে।ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে হাসপাতালের চত্তর।আর এই সুযোগ এলাকার অনেক মাদক সেবিরা তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে যা দেখার কেউ নেই। রাত যতই গভীর হয় ততই মাদক সেবিদের আনাগোনা দেখা যায়।
স্থানীয় অনেকেই বলেন,মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণের কথা শুনে অনেকেই আশার আলোর স্বপ্নে বুক বেধেঁছিলেন।কাজ শেষ হলে চিকিৎসা সেবা নিতে আর দূরে যেতে হবে না।আমরা ইউনিয়নবাসী হাতের কাছেই চিকিৎসা সেবা পাব।কিন্তু ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটি আট বছর অতিবাহিত হলেও এলাকার মানুষ আজও আলোর মুখ দেখতে পেল না।সেখানে মানুষের মাঝে স্বপ্ন দেয়াটাই অনর্থক।বরং এই হাসপাতাল এখন এলাকার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় হাসপাতালটি পড়ে থাকাতে হাসপাতালটি এখন এলাকার মাদক সেবিদের আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে সমাজ ও সমাজের মেধাবী যুব সমাজ ধ্বংসের অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন,বর্তমানে পোড়পাড়া মা ও শিশু হাসপাতালটি স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে রয়েছে।অচিরেই হাসপাতালটি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে হস্তান্তর করা হবে এবং ন্দ্রত চালু হবে বলে আশা করছি। যশোরের সিভিল সার্জন দিলীপ রায় বলেন,মন্ত্রালয়ে একটি মিটিংয়ে হাসপাতালটি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।তারা দিক নির্দেশনা দিলেই হস্তান্তর করা হবে।
Leave a Reply