যশোরের বেনাপোল মহাসড়কের বলফিল্ড এলাকা থেকে ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১২ টার দিকে যশোর শার্শার থানাধীন মাঠপাড়া যশোর টূ বেনাপোল মহাসড়কের নুর হোসেনের বাড়ির সামনে ঝিকরগাছা থানাধীন বাকুলিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ শিমুল হোসেন টুটুল নাভারন ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক হতে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ৬ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে বাকি ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে মটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ৩ জন পালসার মটরসাইকেল যোগে শিমুল হোসেন টুটুলকে গতিরোধ ও মারপিট দিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনা সংক্রান্তে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।যার নং : ৪৩ (২) ২০২১।
ঘটনাটি এলাকায় অতি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় যশো জেলা সন্মানিত পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার,বিপিএম (বার)পিপিএম মহোদয় শার্শা থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি),কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন।
পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জনাব সালাহ উদ্দিন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশেষ শাখার জনাব মোঃ তোহিদুর রহমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ শাখার সার্কেল জনাব গোলাম রব্বানী শেখ পিপিএম যশোরদ্বয়ের সার্বিক তত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার মোমেন দাশের নেতৃত্বে এস আই (নিঃ) শামীম হোসেন সহ জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি চৌকস টিম ও শাখা থানা পুলিশ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা থেকে রাত ৪ টার মধ্যে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবেড় ও বড় আচঁড়া এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী ৩ জনকে গ্রেফতার করে। সে সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে ৭ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা সুজনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়।এ ছাড়া ভীকটিমের মোবাইল ফোনটি নোমানের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১ টি পালসার মোটরসাইকেল (রেজিঃ বিহীন) জব্দ করা হয়।
পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে তাদের নিকট অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে মর্মে স্বীকার করলে পুনরায় ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে বারটার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম ও থানা পুলিশ বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবেড় এলাকায় আসামী রোমানের বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সুজনের দেখানো ও নিজ হাতে বের করে দেওয়া ১টি শুটার গান পিস্তল জব্দ করা হয়। আটককৃত আসামী বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সাদিপুর গ্রামের আহসান হোসেনের ছেলে সুজন (২৫),একই এলাকার আবু তৈয়ব মোড়লের ছেলে আনোয়ার (২৫), ও ঐ এলাকার নুরু হোসেনের ছেলে নোমান (১৯)।
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন এস আই (রেজিঃ) শামীম হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
আসামীদের গতকাল বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে যশোর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শম্পা বসুর আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় মোতাবেক স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
Leave a Reply