যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া মোড়ে ব্রাদার্স ক্লাবে প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন আরাফাত হত্যা ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি। হত্যাকান্ডের ৩ কারণ শনাক্ত করাসহ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আপন দুই ভাইকে আটক করেছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা শিরোমনি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এছাড়া ঘটনায় জড়িত আরো কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তাদের আটকে অভিযান চলমান রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ইয়াসিন আগে খারাপ পথে থাকলেও সম্প্রতি সে ভাল পথে চলে এসেছিল। মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী কাজ করত।
১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে ব্রাদার্স ক্লাবের মধ্যে বসে কেরাম খেলা অবস্থায় স্থানীয় একটি চক্র ওই এলাকার মোয়াজ্জিন মনির হোসেনের ছেলে ইয়াসিনের সাথে প্রথমে বাকবিতন্ডা করে। এক পর্যায়ে এলোপাতাপাড়ি ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় ও আপনজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সাড়ে ৮ টায় তিনি মারা যান।
ঘটনার সংবাদে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে নামে।ওই রাতেই ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে হত্যায় জড়িতদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। ওই রাতেই গেয়েন্দা শাখার এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে আইটি এক্সপার্ট একটি টিম অভিযান শুরু করে।
প্রত্যক্ষশদর্শী হত্যয় জড়িতদের নাম ঠিকানা পুলিশকে দেন। ওই তথ্যে গভীর রাতে খুলনার শিরোমনির একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আটক করা হয় দুই জনকে।এরা হচ্ছে শংকরপুর এলাকার তোরাব আলীর ছেলে স্বর্ণকার রানা ও রুবেল। আটকের পর ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাদেরকে যশোর আড়াই শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
অভিযানের অফিসার ডিবির এস আই মফিজুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের পরেই জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করেন।তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন রুবেল ও রানা খুলনা শিরোমনির লিন্ডা প্রাইভেট হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।ঘটনার সাথে জড়িত আছে এমন কয়েক জনের নামের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা,শ্বসুর শামীম আহমেদ মনোয়ার জানিয়েছেন, এর আগে ইয়াসমিনকে নিয়ে বাকবিতণ্ড থাকলেও গত কয়েক বছর সে একেবারে সৎপথে চলে আসছিল। বর্তমানে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করত ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে এলাকায় কাজ করত। যার কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা তার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে। তিনি আরো জানান, সে ভাল হয়ে নিয়মিত নামাজ আদায় করতো।হত্যাকারীরা সবাই শনাক্ত হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের কয়েকটি টিম মাঠে তদন্তে নেমেছে। ইতিমধ্যে হত্যার কারণ পরিস্কার হয়েছে।
Leave a Reply