লকডাউনের সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলা ও জরিমানার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিনা কারণে কিছু মানুষ বাইরে চলে আসছেন। যার জন্যে তাদের আইনের আওতায় নিতেই মামলার সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার ৫৪টি মামলার বিপরীতে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা হলেও তা বেড়ে শনিবার এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় তিনগুণ। শনিবার যশোর শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় দোকান খুলে রাখা, মাস্ক ব্যবহার না করায় ৮৭টি মামলা ও ৭৬ হাজার ৮শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেছের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মামুনুর রশিদ পরিচালিত আদালতে ১টি মামলা ও ৫শ’ টাকা জরিমানা করেন। তিনি বেজপাড়া, আরএন রোড, রেলরোড ও হুসতলা এলাকায় অভিযান চালান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আতিকুর রহমান মণিরামপুর উপজেলায় ৬টি মামলা ও ১০ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেন।
চৌরাস্তা, দড়াটানা, মুজিবসড়ক, জর্জ কোট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাজ শারবীন। তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রাখা ও মাস্ক না ব্যবহার করার অপরাধে ১০টি মামলা ও ১২ হাজার ৬শ’ টাকা জরিমানা করেন।
দড়াটানা, পুনাক মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি এসময় ১৯টি মামলা ও ১১ হাজার ৩শ’ টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম জজ কোর্ট, পুনাক মার্কেট, রেলবাজার, চাঁচড়া, রেলরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি মামলা ও ১শ’ ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুল হক বঙ্গবাজারের অভিযান চালিয়ে ৭টি মামলা ও ৮ হাজার তিনশ’ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসনের প্রত্যাহিক কাজের সিডিউল অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করেন তারা। এ সময় অনেক মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক কাজও করেন।
এদিকে, একই ইস্যুতে ঝিকরগাছাতে ৫টি মামলা ও এক হাজার ৭শ’ টাকা, শার্শায় ২টি মামলা ও ৫শ’ টাকা, কেশবপুরে ১৫ হাজার টাকা ও ১৯টি মামলা, অভয়নগরে ১০টি মামলা ও ৭ হাজার ৫শ’ টাকা এবং বাঘারপাড়াতে ২টি মামলা ও ২ হাজার টাকা এবং চৌগাছায় ১টি ও ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
Leave a Reply