যশোর কেশবপুরে সামান্য সুদের টাকা লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খোকন দাস(৭০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ সময় তাদের অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে আরো ৬
জন মারাত্মক জখম হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিংড়া ধর্মপুর গ্রামে। এ ঘটনায় গতকাল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।
থানার মামলার সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বচর আগে চিংড়ি ধর্মপুর গ্রামের সুদখোর দুলাল দাসের স্ত্রী পুর্ণিমা দাসের নিকট থেকে একই গ্রামেখোকন দাসের ছেলে কালী দাস সুদের কারবার ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেন।যথারীতি সময়ে সুদ সহ টাকা পরিশোধ করে দেন। কিন্তু সুদখোর পুর্ণিমা কিছুদিন পর ৮ শত টাকার দাবি করে চাপ সৃষ্ঠি করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।পুর্ণিমাকে সাফ বলে দেন আমার সাথে তোমার আর কোনো লেন দেন নাই।
এই ঘটনার জের ধরে ৭ মার্চ রবিবার সকালে তার বাড়ির সামনের রাস্তায় একা পেয়ে পর্ণিমা দাস,সুজন দাস,বলরাম দাস,পংকজ দাস,বৈশাখী দাস সহ ৬-৭জন মিলে জোর করে তার কাছ থেকে সুদের বাকি টাকা আদায়ের জোর চেষ্ঠা সহ অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।এক পর্যায়ে টাকা দিতে অস্বীকার করায় বৃদ্ধকে বেধড়ক মারপিঠ করে জখম করে।
এ সময় তার ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে প্রতিবাদ করতে গেলে বৃদ্ধ পিতা খোকন দাস(৭০)মাতা মানু দাস(৬০),ভাই রবিন দাস (৪০) ও ভাইঝি কেয়া দাস (১৪),ভাইপো আকাশ দাস(২২),মাধব দাসের স্ত্রী কালী দাসী(৫৫),লোহার রড,ছুরি লাঠিসোট নিয়ে হামলা চালিয়ে জখম ও আহত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক আহতদের মধ্যে খোকন দাস,মানু দাসী,কালী দাসী ও কেয়া দাসকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোকন দাস (৭০)গতকাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এ ঘটনায় কালীপদ দাস বাদী হয়ে সুজন দাসকে ১নং আসামি করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কেশবপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সুজন দাস,বলরাম দাস,বলরামের স্ত্রী অশকা রানী,পংকজ দাস,লিভা ও পুর্ণিমাকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
কেশবপুর থানার ইনচার্জ মোঃ জসীম উদ্দিন জানান,হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।এই ঘটনার ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে মরদেহ গতকাল ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply