অভয়নগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ব্যবসায়ী নেতা রকিবুল ইসলাম হত্যা মামলার ধৃত ৫ আসামীরকে আজ ১৯ মে ২০২২ ইং বৃহস্পতিবার অভয়নগর থানায় রিমান্ড শুনানী করা হয়। আসামীরা হলেন অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মিলন হালদার ও,সাইফুল আলম, সুব্রত মন্ডল, তুহিন হোসেন ও পীযুস মন্ডল। এর আগে আসামীদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১২ মে বৃহস্পতিবার রকিবুল ইসলাম তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল করে মণিরামপুরের কপালিয়া গ্রামে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে আটটার দিকে দত্তগাতী গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্যকরে গুলি করে। এরপর ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ারপর তার মৃত্যৃ হয়। এসময় তার স্ত্রী বর্ষা খাতুন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। রকিবুল ফুলতলা বাজার বনিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।
নিহত রকিবুলের মা রহিমা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের নামে মামলাটি করেন। ওই মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
পুলিশের ধারণা, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগের টাকা ভাগাভাগির নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে খন্দকার রকিবুল ইসলাম খুন হয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, উপজেলার দত্তগাতী দামুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নকর্মী এবং আয়া পদে তিনজনের নিয়োগ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নিয়োগে প্রায় ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। এই লেনদেনে খন্দকার রকিবুল ইসলাম নয় লাখ টাকা দাবি করেন। ওইদিন সকালে নিয়োগ পাওয়া চতুর্থ শ্রেণির ওই তিনজন কর্মচারী বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সন্ধ্যার আগে টাকা নিতে তিনি দত্তগাতী গ্রামে আসেন। নিয়োগের এই টাকা ভাগাভাগির নিয়ে দ্বন্দ্বে তিনি খুন হতে পারেন।
অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন মন্ডল বলেন, রকিবুল ইসলাম একজন দুর্ধষ সন্ত্রাসী ছিলেন। তিনি ফুলতলা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ফুলতলা ও অভয়নগর থানায় চারটি হত্যা এবং কয়েকটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পায়রা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মিলন হালদার ও সাইফুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিক্তিতে দামুখালী গ্রমের সুব্রত মন্ডল, তুহিন হোসেন ও পীযুস মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার অভয়নগর থানায় তাদের রিমান্ড শুনানী করা হবে। এর আগে আসামীদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি বলেন, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগের টাকা ভাগাভাগির নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পরে। এ বিষয়টি সামনে নিয়ে আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছি।
Leave a Reply