যশোর অভয়নগরে ঘেরের পাশ থেকে সুমাইয়ার মৃত দেহ উদ্ধার :রহস্য উম্নোচনে প্রশাসন মাঠে
যশোর অভয়নগর উপজেলার একটি মাছের ঘেরের পাশ থেকে সুমাইয়া খাতুন (৮) নামের এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার ৭ আগষ্ঠ ২০২২খ্রি: উপজেলার ০১ প্রেমবাগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাছের ঘেরের পাশে কচুরিপানার ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নাইমা খাতুন উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের সরদারপাড়ার মনিরুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় ঘোপেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
গতকাল পড়ন্ত বেলায় প্রতিদিনের ন্যায় স্কুল থেকে ফিরে পাশে খেলাধুলা করতে যায়।নিহতের পিতা প্রতিবেদককে বলেন,আমার মেয়ে খেলাধুলা করতে যেয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি।এ সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।এরপর থেকে আমার প্রতিবেশিসহ আত্নীয়-স্বজনেরা ঐ রাতেই অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত প্রায় আনুমানিক ১১ টার দিকে ঐ এলাকার সফি কামালের ঘেরের পাশে কচুরিপানার ভেতর প্রথমে মেয়ের চাচা রফিকুল ইসলাম হাত দেখতে পায়।দেখতে পেয়ে এ এলাকার লোকজন অভয়নগর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১২ টার দিকে পুলিশ সুমাইয়া খাতুনের মৃত দেহ উদ্ধার করে। রহস্য উদঘাটনে রাত প্রায় তিনটা পযর্ন্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন সুরত আলীর ছেলে আমজাদ হোসেনকে আটক করে।
মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,আমার মেয়েকে শারিরীকভাবে নির্যাতনের পর ঘাতকেরা হত্যা করে কচুরিপানার ভেতর ফেলে রেখে চলে যায়।এলাকায় চলছে এখন শোকের ছাঁয়া।এমন নাক্কারজনক ঘটনা এলাবাসী কোনরকম মেনে নিতে নারাজ।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এ কে এম শামীম হাসান বলেন,সফি কামালের মাছের ঘেরের পাশে কচুরিপানার ভেতর থেকে দ্বীতিয় শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।লাশ ময়না তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়ি।মেয়েটি সাতার জানত না।তবে অভিযান এখনও অব্যহত রয়েছে।ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।আজ বাদ আছর পর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।এ সময় শত শত লোক জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply