1. admin@dwiptv.com : dwiptv.com :
  2. dwiptvnews2121@gmail.com : sub editor : sub editor
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন

যশোর অভয়নগরে ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের দূর্নীতির অভিযোগ  

উৎপল ঘোষ (ক্রাইম রিপোর্টার) যশোর :
  • আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১
যশোর অভয়নগরে শাবলের আঘাতে গৃহকর্তা নিহত
যশোর অভয়নগরে ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের দূর্নীতির অভিযোগ  
যশোর অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ছয়জন সদস্যের (মেম্বার) বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করে প্রকল্প স্থগিতের আবেদন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্লা।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমানের কাছে এ আবেদন করেন তিনি। আবেদনে তিনি অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্প স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছেন।
অভিযোগ আনা ওই ছয়জন ইউপি সদস্য হলেন এক নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য মুসলিমা বেগম, চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহিদুল ইসলাম কল্লোল, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুলতান মোল্লা, আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা ফকির এবং নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তিতু মিনা।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডে গত চার বছর ধরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে নামমাত্র কয়েকজন শ্রমিককে দিয়ে কাজ করান ইউপি সদস্যরা। অথচ ৩৫ জন শ্রমিকের হাজিরা দেখিয়ে তাদের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে শ্রমিকের তালিকায় স্থান পেয়েছে ওইসব ইউপি সদস্যদের স্বামী, ভাই, বোন, চাচা, পুত্রবধূসহ অনেক নিকটাত্মীয়; যাদের অধিকাংশ আর্থিকভাবে সচ্ছল।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, একজন পিআইসি’র আওতায় ৩০ থেকে ৩৫ জন শ্রমিকের নামের তালিকা আছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ চলাকালে প্রতিটি ওয়ার্ডে সাত থেকে ১৫ জন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। গত চার বছর ধরে ওই ছয়জন ইউপি সদস্য অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ইজিপিপি প্রকল্পের কাজ করে আসছেন; যা প্রকল্পের নিয়মবহির্ভূত ও স্বেচ্ছাচারিতা। এজন্য সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
চার বছর পর অভিযোগ কেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্লা বলেন, ‘ইতোপূর্বে তাদেরকে বার বার সংশোধন হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি এবং মৌখিকভাবে সতর্ক করেছি। ভালো ফল না পেয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইউপি সদস্য সুলতান মোল্লা অবশ্য ভিন্ন তথ্য দেন। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্লার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। চেয়ারম্যান নিজেই একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান জানান, শ্রীধরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্লা তার পরিষদের ছয়জন সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

আমাদের এন্ড্রয়েড এপস আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন।

Developer By Zorex Zira