1. admin@dwiptv.com : dwiptv.com :
  2. dwiptvnews2121@gmail.com : sub editor : sub editor
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

যশোরের মাষ্টার্স ফাইনাল বর্ষের মেধাবী ছাত্রী সোমাকে বাঁচাতে দেশবাসীর প্রতি আহব্বান

উৎপল ঘোষ (ক্রাইম রিপোর্টার) যশোর :
  • আপডেট: শনিবার, ২২ মে, ২০২১
যশোরের মাষ্টার্স ফাইনাল বর্ষের মেধাবী ছাত্রী সোমাকে বাঁচাতে দেশবাসীর প্রতি আহব্বান
যশোরের মাষ্টার্স ফাইনাল বর্ষের মেধাবী ছাত্রী সোমাকে বাঁচাতে দেশবাসীর প্রতি আহব্বান

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।এ কথাটা চিরন্তন সত‍্য।যে শিশুটি এক সময় হাঁটি হাঁটি পাঁ পাঁ করে ন্দ্রত নিজেকে সমাজ সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষমের দিকে অগ্রসর হতে যাচ্ছিল।।আজ সে থমকে গেছে।এলাকার ছোট বড় আবাল,বৃদ্ধ বণিতার প্রিয় মানুষ সমাজের সাধারণ মানুষের সঙ্গী হয়ে সবার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল। তিনি হলেন যশোর শহরের বেজপাড়ার অতি দরিদ্র জরাজীর্ণ ঘরের সন্তান মেধাবী মাষ্টার্স ফাইনাল শেষ বর্ষের ছাত্রী সোমা রায়( ২৩)। সোমা রায় এমনি একজন মেধাবী ছাত্রী তাকে সব শ্রেণীর মানুষ ভালবাসেন।এলাকার সচেতন মহলে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ সুনামের সুখ‍্যাতি জানা গেছে।তিনি সব সময় তার এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে ছুটে যান।সমাজ সেবার সাথে জড়িত থেকে দেশ জাতি ও সমাজের কল‍্যাণে কাজ করাই ছিল সোমার মূল লক্ষ‍্য। ২০১৮ সালে একটি শিশু দূর্ঘটনায় রক্ত ক্ষরণ হয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলো রক্তের প্রয়োজন।অনেক খোঁজাখুঁজির পর যখন রক্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না এ পজেটিভ।তখন শিশুরটিকে নিজের রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচিয়ে দিলো আজকের সোমা রায় (২৩)।ঐ সময়ে সোমা বলেছিলো, রক্ত আমি স্বেচ্ছায় দান করবো কোনো অর্থের বিনিময়ে রক্ত দান করবো না। আমার জন‍্য যদি একটি শিশুর জীবন বেঁচে যায় তাহলে আমি দিব।তখন সোমা রায়ের আশার আলো সঞ্চার হলো। সোমার শরীরের রক্ত পেয়ে অবশেষে শিশুর জীবন বেঁচে গেল ও হাসি ফুটলো ওই শিশু পরিবারের।
গতকাল সোমার পিতা ও মাতার সাথে সাক্ষাৎ করে জানা গেছে,যশোর শহরের দৈনিক রানার অফিসের বিপরীত পাশে সোমা রায়ের জরাজীর্ণ একটি বাড়ি বেজপাড়ার ছাঁয়াবিথী রোডেরপাশে স্থায়ী বাসিন্দা।বর্তমানে সোমা রায় যশোর সরকারি মাইকেল মধুসুধন কলেজের ব‍্যবস্থাপনা বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্রী।পরীক্ষা পাঁচটি দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ল।বাকি দু’টি পরীক্ষা চলতি মাসের ২৪ ও ২৭ মে ২০২১ইং। বর্তমানে ডান হাত ও ডান পা অচল। হাত ও পা কাঁপে। লেখার মতো বল নেই।মেধাবী ছাত্রীর সোমার এখন একটাই চিন্তা কিভাবে সামনের দু’টি ফাইনাল পরীক্ষা দিবে। তার আশার আলো কী নিভে যাবে।পিতা অশোক রায়(৫৮) দীর্ঘদিন হার্টের অসুখে ভুগছেন।তিনি শহরে সামান্য বেতনে চাকুরী করেন।যা পান তাতেই সংসার চলে না।মাতা সবিতা রানী রায় (৪৮)একজন গৃহিনী।তিনিও অসুস্থ।অভাবী বাবা মায়ের সংসারে পড়াশুনার পাশাপাশি বড় সন্তানের দায়িত্ব পালন করে আসছিল সোমা রায়।লেখাপড়ার পাশাপাশি সোমা ছিলো নিয়মিত হোম টিউটর, দক্ষ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং গ্রামীণ কাষ্টমার কেয়ারের একজন ব‍্যার্ডিস হোল্ডারএম এম কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেছে একমাত্র ছোট ভাই অয়ন। সোমা রায়ের ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছা ছিলো বড় হয়ে সমাজকে কীছু দেওয়ার। কিন্তু সে জানতো না তার জীবনের আশা ভরসাএত তাড়াতাড়ি নিভে যাবে।করোনা কোভিড -১৯ বর্তমানে এখনো চলমান রয়েছে।সোমার বাবা গৃহে বসা ও একমাত্র ছোট ভাই অয়ন (১৯)বেকার জীবন কাটাচ্ছে।একজন অভিভাবকের মতো ঘরে বসে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছে সোমা রায়।সোমার কলেজ বন্ধ,চাকরি নেই,টিউশনি বন্ধ। আজ সে নিজেই অসুস্থ।সারাদিন ঘরে শুয়েই দিন কাটাচ্ছে মেধাবী ছাত্রী সোমা।এখন তার জীবনে একটাই চিন্তা কীভাবে বাঁচাবো অসুস্থ পিতা মাতাকে ও বেকার ভাইকে।আমি যে আজ মারাত্মক মরণব্যাধি ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। ডাক্তার বলেছেন,স্বল্প সময়ে অপারেশন করতে হবে। প্রয়োজন প্রায় ০৬ লক্ষাধিক টাকা।খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনভাবেই এত টাকা সংগ্রহ করা আদৌ সম্ভব নয়।আত্নীয়- স্বজনেরা যারা আছেন তারাও দুঃস্থ পরিবারের আওতায়।
সোমা রায়ের প্রতিবেশী ও বান্ধবী মহলরা বলেছেন, সোমা এখন ঠিকমত কথা বলতে পারে না।তাহলে কী সেদিনের সেই হাসিমাখা মুখ,অসহায়ের হাসি ফোটানো বোনের সোমার জীবনটা কী আসলেই অকালে ঝরে যাবে? এই দুঃখী অসহায় ছাত্রীটি দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে একাকী ঘরে বসে।কারোর সঙ্গে কথা নেই।দরিদ্র অসহায় পরিবারটি এখন মানবেতরের নিচে বসবাস করলেও সোমা রায়ের ভাগ‍্যন্নায়নে কোন মহল এগিয়ে আসেনি এখন মেধাবী ছাত্রী সোমা রায় নিজেকে তিনি বড় অপরাধী মনে করেন।তার স্বপ্ন ছিল শিক্ষিত হয়ে অসহায়ের পাশে দাঁড়াবে
ও দেশ গড়বে।আমরা কী পারিনা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাকে সেই লড়াকু সৈনিক করতে, তাকে সুস্থ করে তুলতে।
দেশে এই ক্রান্তিলগ্নে করোনা মহামারী করোনায় থাবায় সবকিছু এখন মন্থর করে দিয়েছে।তারপরেও দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ করবো আপনারা অনেকেই মসজিদ,মন্দির প‍্যাগোডা ও গীর্জায় অর্থ দান করে থাকেন।অনেকে আবার নামী দামী সিগারেটের পিছনে অর্থ উড়িয়ে ফেলেন।তারপরেও দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করবো যার যেটুকু সামর্থ আছে সে ততটুকু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে অসহায় মেধাবী ছাত্রী সোমা রায়ের হাঁশি মুখখানা ফুটানোর জন‍্য পাশে দাড়াবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

আমাদের এন্ড্রয়েড এপস আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন।

Developer By Zorex Zira