এক শ্রেণীর কান্ডজ্ঞানহীন অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা প্রতি রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দফায় দফায় মৃল্য বৃদ্ধি করে জন ভোগান্তি বাড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাজার দর তালিকা তেমন কোন দোকানে নজরে পড়ে না। ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট বাজারে দর মূল্য তালিকা কী তা অনেকেই জানেন না। দরবৃদ্ধি যাতে করতে না পারে সে লক্ষে সরকারী ভাবে বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালত চালু রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তা সাধারণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী দর তালিকা ঝুলানো নেই।রমজান মাসকে সামনে রেখে অনৈতিক কতিপয় তাদের ইচ্ছামত মূল্য বৃদ্ধি করছে তাদের খেয়াল খুশি চাঁপিয়ে দেওয়াতে বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো পড়েন অর্থ কষ্ঠে।ইতিমধ্যে গত ২০ দিনের অনেক পণ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।মাছ ও তরকারি বাজার আগুন।প্রতি সবজিতে বৃদ্ধি করা হয়েছে ০৫ থেকে ১০ টাকা।মাছ প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা,মাংশে ১০০ টাকা।সিয়াম পালনকারীরা দৈনন্দিন যে পণ্য ব্যবহার করেন যেমন ছোলা,চিনি,ডাল,পেয়াজ,রসুন,বেসন,খেজুর,কলা,চিড়া,মুড়ি,ডিম ও মাংস।পেয়াজ ও রসুন ছাড়া সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।চিনি এখনো বাজারে খুচরা ৮০ টাকা,বেগুন প্রতি কেজি ৭০ টাকা,উস্তে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা,ঢেড়স প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা,কাগজে লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকা হালি,তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা,কচুর লতি প্রতি কেজি ৫০ টাকা,ঝিঙ্গে ৪৫-৫০ টাকা,পটল ৫০থেকে ৬০ টাকা,বাঙ্গি প্রতি পিচ ৪০ থেকে ১২০ টাকা,কাঁচা ঝাল প্রতি কেজি ১০০ টাকা,আলু প্রতি কেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা।লাউ প্রতি পিচ ৩০ থেকে ৫০ টাকা,ধুন্ধল প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।সয়াবিন তেলের বাজার এখনো উদ্ধমুখি। খোলা সয়াবিন ১৭০থেকে ১৭৫ টাকা,পাম ওয়েল ১৫৮ টাকা থেকে ১৬০ টাকা,সুপার পামওয়েল ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরিষার তেল কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি,চাউল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং আটা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা।
সচেতন ভুক্তভোগী মহল বলেছেন,যদিও সরকার খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৩৬ টাকা ও পাম ওয়েল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।সরকারের কোন সংস্হা অনুমতি ছাড়া তেলের দাম বাড়ানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়নি।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিল্প শহর নওয়াপাড়া বাজার করতে আসা দাউদ শেখ বলেন,আমরা ভোক্তারা জিন্মি হয়ে পড়েছি।এক মাস আগে বাজারে যে দর ছিল রমজান মাসে একই দরে বিক্রি করা হোক।রমজান মাস আসার আগেই অমুল্য বৃদ্ধিতে সব মহল হতবাক হয়েছেন।দর তালিকা বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালত ব্যবস্থা চালু করার জোর দাবি উঠেছে।
Leave a Reply