৮১ সালের ৫ই মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বপ্নের যাত্রা যদি ও আজকে ২০২০ইং সালে সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সফল বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বে আজকে আমাদের অবস্থান।
প্রশ্ন থেকে গেলো?
আমরা সফলতা অর্জন করার লক্ষ্যে যেভাবে কাজ করেছি, সফল হওয়ার পর কি সেই মনোভাব রেখে পথ চলছি?
নাকি সম্পুর্ন বিপরীত মুখী রাজনীতির ধারাবাহিকতার বহি:প্রকাশ নিয়ে আত্বনির্ভরশীল, স্বার্থ উদ্বারের পয়তারাকে বাস্তবায়িত করতে নিজেদের কে সাংগঠনিক নেতা দাবি করছি?
লম্বা কথায় যাবোনা,
প্রশ্ন : সংগঠন কে টিকিয়ে রাখতে তৃণমূল, ত্যাগী, দক্ষ্য, মেধাবী, আদর্শিক যাদেরকে রাজনীতিতে বেশ প্রয়োজন ছিলো সফলতার জন্য, সফলতা অর্জনের পর আমরা তাদের কে আমরা কতটুকু মূল্যায়ন করি।
বস্তুত : যদি বলি আজকে তাদের আর দরকার পড়েনা তাদের কে আর কাজে লাগেনা তাদের কে আর প্রয়োজন হবেনা বরং তারা থাকলে আমরা ভীড় মনে করি। নচেৎ শুধু ডোর টি ডোর মেইনটেইন করে দিব্বি আরামে বড় নেতা হওয়া যায় আর সাইনবোর্ড একটা নিতে পারলেই আমার রাজ্যে আমি রাজা।
প্রিয়, নেত্রী যদি বলি এই রাজ্যের রাজা কে? রাজ্যে চেয়ার টা কার? একবার নয় শতবার বলবো শেখ হাসিনা!
আপনার রাজ্যে আপনার চেয়ারের মুল্যায়ন টা যেমন আপনি বুঝেন, যেমনটা আপনি মানেন, তেমনটা কি আমরা সবাই মেনে চলি?
মাননীয় নেত্রী, এই সব প্রশ্ন গুলো অধরা থেকে যায়, হারিয়ে যায় আপনার বিশ্বাস বোধ থেকে যখন আপনি বলেন তৃণমূল কর্মিদের শ্রম ঘামের কারেন আজকে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়। ক্ষমতায় তৃণমূল কে দিয়ে অবহেলিত শতবাগ তৃণমূল, কারন সিন্ডিকেট নামক কিছু টেবিলের কাছে হার মেনে যায় মানতেই হয় নচেৎ ঐ দু:সময়ের কান্ডারিরা হয়ে যায় সন্ত্রাস, হয়ে যায় সিন্ডিকেটের বলি।
মাননীয় নেত্রী, গ্রামের একটা প্রবাদ রয়েচে সৎ পাত্রে কন্যা দান করো, যাতে করে সংসার সুখী হয়,,,,,,যদি পাত্র অসৎ হয় তবে কন্যার কি বেহাল দশা!
প্রিয় নেত্রী, আপনার কাচে যেমন আপনার কন্যা নিরাপদ তেমনি নিরাপদ আপনার চেয়ার তেমনি নিরাপদ এই রাষ্ট্র, যদি ও এই রাষ্ট্রের দায়িত্বে আপনাকে নিয়োজিত করতে আমরা সাধারনত একটা কথা বুঝি বঙ্গবন্ধুর নৌকা,,, যাহা আমাদের প্রতীক, যেই প্রতীকে সিল মেরে আমরা স্বাধীনতার পক্ষ্যের সকল শক্তি বিজয় কে চিনিয়ে নিতে জীবন বাজি দিতে বদ্ধপরিকর।
প্রিয় নেত্রী, এই প্রতীক বঙ্গবন্ধুর এই প্রতীক আপনার এই প্রতীকের উপর ভর আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহান সংসদে বিল পাশ হয়। এই প্রতীকের উপর ভর করে থুবড়ে পড়া বাংলাদেশ থেকে আজকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে আমাদের অবস্থান।
এই প্রতীক কে বাজারে শাক ঝাউর মতো কেনাবেচার মধ্যে ঠেলে দিবেন না, এই প্রতীককে নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করতে দিবেন না, এই প্রতীকের সন্মান নষ্ট করতে দিবেন না, মনে রাখবেন আপনার কাছে বঙ্গবন্ধুর যেই সন্মান, আপনার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনি যেমন বদ্ধপরিকর, তেমন টা কি আপনার বাহিরে আমরা সবাই? অবশ্যই না। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর প্রতীক শেখ হাসিনার প্রতীক নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত নিরাপদে থাকুক। এতে করে আর কিছু না হউক কর্মীর মূল্যায়ন বাড়বে, সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্বি পাবে, সংগঠন গতিশীল হবে, জনগনের দৌরগোড়ায় সকল প্রার্থীর যোগসাযোগ বৃদ্ধি হবে, সর্বপরি মুলধারার রাজনীতিতে ফিরে যেতে পারবো।
নচেৎ : রাজপথের কর্মিরা রাজপথে বিলীন হবে!!
অকাতরে হারিয়ে যাবে তৃণমূলের শক্তি, নষ্ট হয়ে যাবে সাংগঠনিক ফাউন্ডেশন।
আর হাইব্রিড চাটুকার প্রভাবশালীরা মনে করে নৌকা যার বিজয় অর্জন তার, তৃণমূলের কি দরকার!
সুতরাং বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক হিসেবে আমার ধারনার বহিপ্রকাশ থেকে মাননীয় নেত্রীর প্রতি আহবান রাখবো, আগামি ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রতীক না দিয়ে জনগনের মন জয় করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হইক। তবেই জনগন তাদের নেতা নির্বাচন করতে বাধা থাকবেনা।
আসুন আমার আপনার রাজনীতি হউক জনগনের সেবা করার জন্য আর জনগনের সেবা করতে হলে জনগনের পিছে থাকতে হবে, প্রতীকের পিছে নয়।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
নিবেদক
রেজাউল করিম রিয়াজ
আহবায়ক
১২নং চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগ, লক্ষীপুর।
Leave a Reply