মুন্সীগঞ্জে মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গে সংবাদ সন্মেলন করা হয়েছে। শনিবার (১০) সেপ্টেম্বর ১২ টায় মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এই সংবাদ সন্মেলন করা হয়।
সাজ্জাদ হোসেন, মো: জনি ও মো: মোশারফ হোসেন মেম্বার তিনজনেই দাবী করেন দুটি মিল তারা কয়েক বছর পূর্বে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে অকপটে তারা স্বীকার করেন এই আয়রন করা কারখানায় অবৈধ কারেন্টজাল আয়রন করা হয়। কিন্তু এটা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানেন না। তাকে না জানিয়েই অবৈধ কারেন্টজালের জালের ব্যবসা করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বীকার করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন লিখিত বক্তব্যে উপস্থাপন করেন পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে গত ২৮ আগস্ট ২টি মামলা যাহার নাম্বার ৫৪/৫৫২ ও ৫৫/৫৫৩। ২৭শে আগস্ট পঞ্চসার ইউনিয়নের দুইটি জাল আয়রন কারখানায় নৌ পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে আবারও গত ৬ই সেপ্টেম্বর দুটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে নৌ পুলিশ। সেখানেও পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাকে প্রধান আসামি করে দুইটি মামলা রুজু করা হয় ৭ই সেপ্টেম্বর। যাহার মামলার নাম্বার ১২/৫৭৩ ও ১৩/৫৭৪। পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা প্রকৃতপক্ষে এই দুটি ‘কারখানা সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবী করেছেন সংবাদ সম্মেলন করতে আসা তিনজন ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন ও আমার ব্যবসায়ীক পাটনার মোঃ জনি ও মোশারফ হোসেন মেম্বার।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয় জিএম কর্পোরেশন নামে হাজী মো. গোলাম মোস্তফার আমদানি রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার প্রধান কার্যালয় চক মোগলটুলী। কিন্তু এই নামে মুন্সীগঞ্জে কোন কারখানা নেই।
Leave a Reply