মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নে ট্রলার ভাড়াকে কেন্দ্র করে মেম্বার ও তার দল বলের হামলায় আলিম সরকার (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার সময় মর্মান্তিত ঘটনাটি ঘটে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রাজিব খান এ খবর নিশ্চিত করেন। নিহতের বাড়ি সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামে।
নিহতের লাশ মযনাতদন্ত্রের জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে ইতিমধ্যে এসহাক মাদবর, দিদারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রলার ভাড়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার পর মুন্সীগঞ্জ সদর থানার শিলই ইউনিয়নের বেহের পাড়ায় প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় ১জন নিহত ও ৫ জন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যাক্তির নাম আলিম সরকার (৬০)। আহতরা হলো নিজাম বেপারী (৩৫), মোঃ হৃদয় (১৭), জগতারা (৪০), সুমি (২৫),ও হালিমন (৬০)।
তাদের মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের কোরবানীর জন্য ব্যবহৃত ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে আহতরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে নিহত আলিম সরকারের স্ত্রী ও কন্যা রযেছে। নিহত আলিম সরকারের ভাগ্নে মোঃ নিজাম বেপারী জানান, সকাল ৯ টায় স্থানীয় দিঘিরপাড় বাজার থেকে শিলই ইউনিয়নের ৯ নন্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াজুল ইসলাম হাকিম নিহত আলিম সরকারের ভাগ্নে মহিউদ্দিনের ট্রলার ভাড়া করে দিঘিরপাড় বাজার থেকে বেহেরপাড়ায় আসে।
এ সময় ইউপি সদস্য হাকিম ট্রলার চালক মহিউদ্দিনকে ১ শ’ টাকা ভাড়া প্রদান করলে তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ট্রলার চালক নিহতের ভাগিনা মহিউদ্দিন ৩শ’ টাকা দাবী করে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হলে পরে ট্রলার মালিককে ৩শ’ টাকা প্রদান করে ইউপি সদস্য রিয়াজুল ইসলাম হাকিম। এতে অপমান বোধ করে ইউপি সদস্য। পরে এর প্রতিশোধ হিসেবে দুপুর সাড়ে ১২ টায় ইউপি সদস্য ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বেহেরপাড়া এসে হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই আলিম সরকার (৬০) ইউপি সদস্যর লোকজনের লাঠির আঘাতে মারা যায় ও আরো ৫ জন আহত হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনস্পেক্টর তদন্ত) রাজিব খান জানান, আলিম সরকারের ট্রলার চালক ভাগিনার সঙ্গে ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় স্থানীয় হাকিম মেম্বারের।
পরে তাদের লোকজন নিয়ে এসে হামলা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। হামলার সময় প্রতিপক্ষের কিল ঘুষিতে আহত হলে আলিম সরকারকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু, পথিমধ্যে সে মারা যায়। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিলো। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আবুবক্কর সিদ্দিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছন।
Leave a Reply