মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় প্রতি বছর ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সর্ববৃহৎ পশু বেচা-কেনার অস্থায়ী হাঁট বসে উপজেলার হাসাইল বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে।
তবে এ বছর হাঁটটি বন্ধ রয়েছে।
২০০ বছরের প্রাচীন হাসাইল পশুর হাঁট এ বছর বন্ধের কারনে এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পশু নিয়ে চিন্তিত এই অঞ্চলের অসংখ্য ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে হাঁট বন্ধের কারনে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ক্রেতারাও। হাঁটটি বন্ধ থাকায় এই ঐতিহ্যবাহী হাসাইল বাজারের ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে এই বাজারের দোকানীরা।তারা জানান, দাবী এই হাটকে কেন্দ্র করে তাদের বেঁচাবিক্রি অনেক বেড়ে যায়।
এই পশুর হাঁট নিয়ে গত শনিবার (১৭জুলাই) টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জবাব চেয়ে বিক্ষোভ মিছিলে করেন হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের গরু ক্রেতা-বিক্রেতা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হাঁটকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি এস,এম আনিসুজ্জামান হাসাইল পশুর হাঁটটি চালু করার দাবী জানান।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীনের উদ্দেশ্যে তিনি তিনি আরও বলেন, আমাদের পুরনো ঐতিহ্য হাসাইল হাঁটটি বন্ধ কেনো এর জবাবদিহিতা করতে হবে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন এর একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের অন্য একটি সুত্র জানিয়েছে ইজারা গ্রহিতা সিন্ডিকেটের কম মূল্যের দরপত্র দাখিলের কারনে আসন্ন ঈদে বন্ধ থাকবে হাঁটটি।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান,বৃহৎ পশুর হাঁটটির প্রকৃত ইজারা মূল্য হতে পারে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা কিন্তু স্থানীয়রা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তা ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকায় নিতে বার বার চেষ্টা তদবির করে। আর কাংক্ষিত ইজারা মূল্য না পেয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিন বার প্রচার করে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয় অনুমতি ব্যতিত হাসাইলে পশুর হাঁট বসানো যাবে না। সিন্ডিকেট গ্রুপটির কারনে দীর্ঘ বছর যাবত সিডিউল মূল্য কম পাচ্ছে সরকার।
Leave a Reply