ভারতীয় তালিকা নম্বর ৪৩৫১১ এর মালিক লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলাধীন সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন এর বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ নুরল হক, পিতা আছিমুদ্দিন। ঠিক এই নম্বর টা দিয়েই একেই জেলার পাশ্ববর্তী উপজেলা পাটগ্রাম উপজেলা তে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ভাতা তুলে আসছিলেন নুরুল আমীন পিতা আজিমুদ্দিন। বর্তমান সরকার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে (এম আই এস )করার কাজ শুরু করলে বিপত্তি ঘটে ।
পাটগ্রাম উপজেলা হাতীবান্ধা উপজেলার সমাজ সেবা অফিসার কে বলে বসেন এই নাম্বারে আপনাদের উপজেলা তে সম্মানী ভাতা তুলছেন কে তাঁর বিস্তারিত দেন। ডাকপরে নুরুল হক এর বেচারা ১৯৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর পরিবার পরিকল্পনা অফিস থেকে অবসর নিয়েছেন তাঁর ভারতীয় তালিকা নম্বর ৪৩৫১১ছাড়াও লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ৩১৪০২০১১৩ বেসামরিক গেজেট নম্বর ৬২০ উপজেলা সমাজ সেবা অফিস হাতীবান্ধা নিশ্চিত হয়, এটা হাতীবান্ধা উপজেলার ইউনিয়নের বর্তমান বাসিন্দা এই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান নুরল হক এর নম্বর ।
অতঃপর বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরল হক হাতীবান্ধা থানা পুলিশের কাছে গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন গত ০১/১০/২০২০যার নম্বর ৩৮। পাটগ্রাম উপজেলার তথ্য থেকে জানা যায় হাতীবান্ধার জনৈক নুরুল আমীন সাবেক পুলিশ সদস্য, যে কি না সিংঙ্গিমারী ৬নং ওয়ার্ডে একবার ইউপি নির্বাচন করেছিলেন সে পাটগ্রাম পৌরসভার নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট নেন নিজের এন আইডি চেঞ্জ করে নাম ধারন করেন নুরুল হক কিন্তু চাকরীর কাগজ পত্রের মধ্যে আগের নাম নুরুল আমীন ই রয়ে গেছে!
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করেন জনাব সাইদুল ইসলাম মিঠু । তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন” গোটা দেশে এই ধরনের ঘটনায় অনেকে ধরা পরবে মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে যারা কোন ভাবেই সংশ্লিষ্ট নাই তাদের মধ্যে লোভ লালসা কাজ করে, আর এর সাথে জড়িত কারা তাঁদের খুঁজে বের করে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে” এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হলে সবাই নড়েচড়ে বসবে। যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা তুলেছেন সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করা, জাতির কলঙ্ক কে মুছে দেওয়া,জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা সামাজিক দায়িত্ববোধ বলে সকল মুক্তিযোদ্ধারা জানান।
Leave a Reply