লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় নুর ইসলাম (৫৫) নামে এক চাল ব্যবসায়ীর পরিবারকে অচেতন করে ৩ লক্ষ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এমন চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটতে শোনা গেলেও এর প্রতিকারে পুলিশ প্রশাসনকে কোন কার্যকরী ভুমিকা নিতে দেখা যাচ্ছেনা। ফলে টাকা নিয়ে অনেক ব্যবসায়ীকে নির্ঘুম রাত কাটাতে শোনা যাচ্ছে। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে এবিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে চাল ব্যবসায়ী নুর ইসলাম। তবে অভিযোগ পত্রে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে ঐ উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চাম্পারফুল এলাকার মৃত মন্তাজ আকন্দের ছেলে চাল ব্যবসায়ী নুর ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অঅভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে নুর ইসলামের পরিবারের সবাই খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পরে। আজ সোমবার সকাল ৯টার পর্যন্ত পরিবারের কাউকে বাহিরে না দেখে এবং বাড়ির মেইন গেট খোলা দেখে বাড়ি ঢুকে প্রতিবেশী আঃ রউফ (৫৫) দেখেন তারা সবাই অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে আছে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আঃ রউফ অনেক ডাকাডাকি করার পর তাদের ঘুম ভাঙ্গে।
ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন শয়ন ঘরের ভিতর থাকা স্টিলের আলমারির ড্রয়ার খোলা। উক্ত ড্রয়ারে তার ব্যবসায়ের ৩ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা নেই। এসময় অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে থাকা তার ছেলে মনিরুজ্জামান মনির (১৮) কে অনেক ডাকাডাকি করলে কোন রকমে জাগনা পেলেও খুবই অসুস্থ হয়। পরে তাকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। বর্ত্তমানে সে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে। চাল ব্যবসায়ী নুর ইসলামের ধারণা গতকাল রাত ১২টার পুর্বে যে কোন সময় কে বা কারা চুপিসারে তার বাড়িতে ঢুকে টিউবওয়েলের পানিতে অথবা রান্নাঘরে থাকা খাবারের মধ্যে অচেতন হওয়া ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছে অথবা তারা ঘুমিয়ে পড়ার পর জানালা দিয়ে অচেতন হওয়া ঔষধ রুমের ভিতরের স্প্রে করে তাদেরকে অচেতন করে।
পরে বাড়ির ভিতরে ঢুকে দরজার তালার হ্যাচবল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তার বালিশের নিচে রাখা আলমারির ড্রয়ারের চাবি নিয়ে ড্রয়ার খুলে সমস্ত টাকা চুরি করে নিয়ে যায়, হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এবিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে তদন্ত করার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
Leave a Reply