মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউপিস্থ ১নং ওয়ার্ড উত্তর নলবিলা (চালিয়াতলী) এলাকায় ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আবদুল গফুর এর পুত্র নয়ন (২৬) এর বিরুদ্ধে।
থানার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল অনুমানিক ৪টার সময় মেয়ের বসত ঘরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ধর্ষিতা পিতা শাহাদাদ (৪৫) আমাদের প্রতিনিধিকে জানান- আমার মেয়ে আকাশ মনি (১৩) চালিয়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে, আমার এলাকার আবদুল গফুর এর বখাটে লম্পট পুত্র নয়ন (২৬) আমার পরিবারের লোকজনের অগোচরে আমার মেয়ে আকাশ মনির সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়িয়া তোলে এবং আমার মেয়েকে বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া যৌন মিলন করার প্রস্তাব দেয়। এমতবস্থায় আমার মেয়ে বিবাহ বহির্ভূত যৌন মিলন করিতে অনিহা প্রকাশ করিলে উক্ত লম্পট নয়ন নানা ভাবে শপথ করিয়া আমার মেয়েকে বিবাহ করিবে বলিয়া প্রতিশ্রুতি দিত।
আমার বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ (মঙ্গলবার) বিকাল অনুমানিক ৪টার সময় লম্পট নয়ন চালিয়াতলীস্থ আমার বসত ঘরে যায় এবং আমার মেয়েকে বিবাহ করিবে বলে শপথ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর পর থেকে আমার মেয়েকে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন তারিখ, সময় ও স্থানে আমার মেয়ের সাথে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে বিবাহের জন্য তাগিদ দিলে খুব তাড়াতাড়ি বিবাহ করিবে বলে আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে আমার মেয়েকে বিবাহ না করে তালবাহানা শুরু করে। অতঃপর আমার মেয়ে হইতে ঘটনার বিস্তারিত জেনে শুনে এবং ঘটনার বিষয় এলাকার গণ্যমান্য লোকজনকে জানাইয়া থানায় মামলা করি। এসময় মেয়ের বাবা বলেন- আমি লম্পট নয়নের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই যেনো অন্য কোন মেয়ের সাথে এরূপ আচরণ করতে না পারে।
এব্যাপারে অত্র ওয়াড মেম্বর লিয়াকত আলির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ঘটনা সত্য আমি ও এলাকার সর্বস্তরের লোকজন ঐ লম্পট নয়নের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
মহেশখালী থানার অফিসার্চ ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল হাই এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় কালারমারছড়া পুলিশ ক্যাম্পের এস আই জহির উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- এ বিষয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে এবং সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ মিলেছে। ওসি স্যারের দির্দেশে শীঘ্রই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেওয়া হবে।
Leave a Reply