ফের কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় দিশেহারা মানুষ। কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে ছুটছে মানুষ। তাই ঈদের তৃতীয় দিনেও দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যাত্রীদের উভয়মুখি চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ তো অপরদিকে আসন্ন লকডাউনকে কেন্দ্র ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছে। এতে করে শিমুলিয়া বাঙলাবাজার নৌরুটে উভয়মুখি যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুন। এদিকে যাত্রীর চাপ বাড়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। সকাল থেকে শিমুলিয়া বাঙলাবাজার নৌরুটে ১৩টি ফেরিতে পণ্যবাহী, ব্যক্তিগত ও যাত্রীর পারাপার করা হচ্ছে। ৮২টি লঞ্চ দিয়ে পরাপার হচ্ছে যাত্রীরা।
উভয়পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়িসহ ৬ শতাধিক যানবাহন । তবে মানা হচ্ছেনা কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। লঞ্চ গুলোতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীবহন করতে দেখা গেছে। ঘাট এলাকায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা থাকলেও তাদের তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ১৩ টি ফেরির মাধ্যমেই যানবাহন ও যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিস শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পন্যবাহী মিলিয়ে উভয় পপারে ৬ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে। তবে সকাল থেকে যাত্রী এবং মোটরসাইকেল চাপ রয়েছে ফেরি গুলোতে। বেশ কয়েকটি ফেরি ছাড়তে হয়েছে শুধু যাত্রী ও মোটরসাইকেল নিয়ে। হাজার হাজার মটর সাইকেল অপেক্ষমান রয়েছে।
Leave a Reply