নৌকা ও দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে উপজেলার লৌহজং-টেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নৌকা ও দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের সরকারি লৌহজং কলেজ কেন্দ্রে এ উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ ও বিজিবির অবস্থানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ভোটাররা জানান, সরকারি লৌহজং কলেজ কেন্দ্রে ইউনিয়নটির ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট হচ্ছিল। সকাল থেকে ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট চলছিল। বেলা ১১ টার দিকে কেন্দ্রের ভেতরে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মোল্লার বেশ কয়েকজন সমর্থক সাধারণ ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুন ব্যাপারী ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামের সমর্থকরা প্রতিবাদ জানায়। এ নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় কেন্দ্রে থাকা পুলিশ ও দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয় মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুন ব্যাপারী বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের সমর্থক সিসিল ব্যাপারী কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল। লাঠি নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করে। ভোট কেন্দ্রে নৌকা হারলে সবাইকে দেখিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। আমার সমর্থকরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। আমিও ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশ ও বিজিবি সবাইকে থামায়।
একই অভিযোগ করেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাদবরের কয়েকজন সমর্থক। তারা বলেন, আমাদের ভোট আমরা দিবো। সকাল ৮টা থেকে ভালোই ভোট চলছিল। হঠাৎ নৌকার লোকজন এসে কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দিতে চায়। আমাদের থাপ্পড় দেয়।
এ বিষয়ে জানতে সিসিল ব্যাপারী ও রফিকুল ইসলাম মোল্লার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। ভোটকেন্দ্রটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, বুথের বাইরে মোটরসাইকেল. আনারস ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা, ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ-বিজিবি পরিস্থিতি সামলে নেয়। এখন স্বাভাবিকভাবে ভোট হচ্ছে।
Leave a Reply