নিখোঁজ শিশু আয়াতকে ছয় টুকরো করে ফেলা হয় সাগরে গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। এর পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করলেও কোন হদিস মিলেনি। অবশেষে নয় দিন পর এ নিখোঁজ রহস্যের জট খুললো।
মুক্তিপণের জন্য অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নিখোঁজ শিশু কন্য আয়াতকে। ছয় বছর বয়সী এ শিশুকে ছয় টুকরা করার পর তা কাট্টলী সাগরপাড়ে ফেলে দেওয়া হয়। নিখোঁজের দশ দিনের মাথায় আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই।
২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) দুপুরে সিইপি জেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকা থেকে আয়াতদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরপরই হত্যার কারণ ও লাশ ছয় টুকরো করে সাগর পাড় ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ওই যুবক। ঘটনাস্থলে থাকা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, ‘আবির আলী নামে আয়াতদের সাবেক ভাড়াটিয়া মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে অপহরণ করে। পরে আয়াত চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। তারপর কাট্টলীর সাগরপাড়ে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তারের পর আবির আলী সব কিছু স্বীকার করে নেয়। এখন আমরা লাশের টুকরোগুলো উদ্ধারে সাগরপাড়ে আছি।
Leave a Reply