1. admin@dwiptv.com : dwiptv.com :
  2. dwiptvnews2121@gmail.com : sub editor : sub editor
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন

না ফেরার দেশে আবু জাফর সাবু

এস এ মিশন, সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট: রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১
না ফেরার দেশে আবু জাফর সাবু
না ফেরার দেশে আবু জাফর সাবু

পৃথিবীর সকল মায়া ছিন্ন করে পরপারে পাড়ি জমালেন বিশিষ্ট কবি,সাংবাদিক ও ছড়াকার আবু জাফর সাবু। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার (২৮ আগষ্ট) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে সহ আত্মীয় স্বজন ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। এমন অভিজ্ঞ লোককে হারিয়ে কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের মনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তার পরিচয় ছিলো দেশজুড়ে একজন ছড়াকার হিসেবে। সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনে তার বিচরণ ছিলো তার। তাছাড়াও তিনি যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আবু জাফর সাবুর জন্ম ১৯৪৮ সালের ২৭ জুন গাইবান্ধা জেলা শহরের অনামিকা লেনস্থ তার নানার বাড়িতে। বাড়ি শহরের ডেভিডকোম্পানি পাড়ায়। বাবা নাট্যব্যক্তিত্ব আব্দুর রশীদ আর মা লুৎফুন নেছা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। সাবু, গাইবান্ধা সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে এসএসসি, গাইবান্ধা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে এইচএসসি এবং ১৯৬৭ সালে বাণিজ্যে স্লাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পারিবারিক জীবনে স্ত্রী সুফিয়া খাতুন গৃহিণী। বড় ছেলে আবু সুফিয়ান রনি চাকরি করছেন ও ছোট ছেলে আবু কায়সার শিপলুজড়িত রয়েছেন সাংবাদিকতা পেশায়। একমাত্র মেয়ে জাফরিন আকতার সুমি স্বামী সৈয়দ আবু হেনা মুকুল ও ছেলে স্বপ্নীলকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে।

 

আবু জাফর সাবু ছোট গল্প ও ছড়া লেখা শুরু করেন ১৯৬৩ সাল থেকে। ১৯৮০ সালে তিনি বেতারে কথিকা ও কবিতা পাঠ শুরু করেন।১৯৯৪ সালের ১৭ নবেম্বর গীতিকার এবং ১৯৮৯ সালের ২৫ আগস্ট থেকে তালিকাভুক্ত নাট্যকার হিসেবে রংপুর বেতারে গান এবং নাটক লিখতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি রংপুর বেতারের ‘ক’ মানের তালিকাভুক্ত গীতিকার ও নাট্যকার হিসেবেও নিয়মিত নাটক এবং গান লিখছেন। আবু জাফর সাবু ১৯৭৬ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন রংপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মহাকাল পত্রিকার মাধ্যমে। এরপর ঢাকার সাপ্তাহিক জাহান ও দৈনিক দেশ পত্রিকায় মহুকুমা ও জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া গাইবান্ধা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ঘাঘটের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক পলাশের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

১৯৮৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০২ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি এবং অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকার রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ সালের ১ নবেম্বর থেকে দৈনিক জনকণ্ঠের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

আমাদের এন্ড্রয়েড এপস আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন।

Developer By Zorex Zira