নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানাগেছে। এছাড়াও নৌপথের নিরাপত্তার কথা ভিবেচনা করে অর্নিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জের লঞ্চ চলাচল।
গতকাল রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে চর সৈয়দপুরের আলামিন নগরের ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলে নিখোঁজ থাকে আরো ৫ জন। পরে আজ সোমবার সকালে একজন ও দুপুরে অপর একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। এঘটনায় মোট ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোজ রয়েছে আর ৩ জন।
নিখোঁজের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ,নৌপুলিশ,কোস্টগাঁড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এদিকে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন স্খানে স্বজন হরাদের বাড়ি বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল এমভি আশরাফ উদ্দিন।
পথে এমভি রূপসী-৯ নামের একটি কার্গোবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন। তবে লঞ্চে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের এসপি মীনা মাহমুদা জানান, নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়া নদী পথের বিভিন্ন পয়েন্টে নৌপুলিশের টহল টিম সার্চ চালাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম-উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) শেখ মাসুদ কামাল বলেন, আপাদত পরবর্তি নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ নৌরুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নৌপথের নিরাপত্তা ও লঞ্চ গুলোর ফিটনেস যাচাই করে পুনরায় লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক করা যায় কিনা দেখা যাবে। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, দূর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। পরবর্তি নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত অভিযন চলবে।
Leave a Reply