মুন্সীগঞ্জ সেবাদানে প্রস্তুুত হাসপাতাল ভবন ও ৩ জন কর্মচারী গত ৩ বছর যাবৎ নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন পাশাপাশি রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য হাসপাতাল ভবনের চাইতেও বড় ভবন এরপরও অদৃশ্য কারনে দীর্ঘ দিনেও চালু হয়নি মিরকাদিমের ১০ শয্যা বিশিষ্ট নবর্নিমিত মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভায় রিকাবী বাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিপরীত পাশে অবস্থিত পুরনো রিকাবী বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পাশে স্বাস্থ্য প্রকোশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২০শে নভেম্বর ভিওি প্রস্তর স্থাপন করেন মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি ও মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন। ভিওি প্রস্তর স্থাপনের কিছুদিনের মধ্যেই অগ্রাধিকার ভিওিতে তৈরি হয় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র ও কেন্দ্রের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জন্য সুবিশাল বাসভবন। কার্তিক রায় এমএলএসএস ও আরিফা জাহান সোমা আয়া এবং নার্স এটেনন্ডেন্স রনি মন্ডল নামে ৩ জন কর্মচারী গত ৩ বছর যাবৎ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসে বেতন পাচ্ছেন। এছাড়াও নিয়ম করে মাঝে মাঝে অডিটও হয় এ নর্বনির্মিত হাসপাতাল ভবনটির।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপপরিচালক ডাঃ মো গোলাম মোস্তফা জানান, অন্য জায়গা থেকে ৩ জন কর্মচারীকে সংযুক্ত করে এখানে রাখা হয়েছে। সাময়িকভাবে তাদের দিয়ে বর্হি বিভাগের সেবা চালু রাখা হয়েছে। করোনার কারনে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। খুব দ্রুতই মাননীয় এমপি মহোদয় ও উপরস্থ কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে যথাযর্থ নিয়োগ ও এটি চালু করার ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে মিরকাদিম পৌরসভার বাসিন্দা মো. আরিফ হোসেন বলেন, আমাদের এ ক্যাটাগরির পৌরসভা কিন্তু বিশেষ কোন সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। পুরনো জরাজীর্ণ একটি মাত্র ্ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ,মাধ্যমে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম। যখন এই মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের ভিওি প্রস্তর স্থাপন ও দ্রুত কাজ সম্পূর্ন হওয়ায় আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরও দীর্ঘ দিনে এটি চালু না হওয়ায় আমরা হতাশ।
বর্হি বিভাগের সেবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আরো বলেন, বর্হি বিভাগের সেবা কখনোই চালু নেই। সব সময় ভবনের গেইট তালা বন্ধ থাকে।
Leave a Reply