টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্ক রাজন মেলকার। সরেজমিনে উপজেলার হাসাইল গ্রামে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান অনেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। গতকাল শুক্রবার বিকালে হাসাইল গ্রামের রাজন মেলকার (২৬), রাকিব মেলকার(২০), পপি মেলকার এবং অজ্ঞাত নামা আরো তিন চার জন একই গ্রামের বাচ্চু গাজীর বাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেড়ে হাতুড়ী, লাঠি ও কাঠের ডাসা দিয়ে হামলা চালায়৷ তাঁদের হামলায় একই গ্রামের মনির হোসেন মেলকারের পুত্র রাসেল মেলকার, তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার (২১), তাঁর শাশুড়ী ইয়াসমিন বেগম(৪৫) ও শ্যালিকা রোজা আক্তার (১৮) কে পিটিয় মারাত্মকভাবে আহত করে।
এছাড়াও হামলায় সময় রাসেল মেলকারের স্ত্রীর গলায় থাকা দুই ভরী ওজনের একটি স্বর্নের হার ও তাঁর শাশুড়ীর গলায় থাকা এক ভরী ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আহতদের আত্ম চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় আহত রাসেল মেলকার শুক্রবার রাতেই টঙ্গিবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আজ শনিবার সকালে রাজন গ্রুপ ও রাসেল মেলকার উভয় পক্ষই পুনরায় সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। পরে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী থানার এস আই রিয়াজুল জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য অভিযুক্ত রাজন মেলকার ও রাসেল মেলকারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। উল্লেখ্য, হাসাইল গ্রামের আফজাল মেলকারের ছেলে রাজন মেলকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের মে মাসে স্থানীয় সাংবাদিক বাবু হাওলারকে মেরে মারাত্মক আহত করে তাঁর পা ভেঙ্গে দেয় এই রাজন বাহিনী। এছাড়াও হাসাইল বানারী ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদের বড় ছেলে ফয়সাল হাওলাদারকেও পিটিয়ে আহত করে রাজন মেলকার। টঙ্গিবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকেও হাসাইল বাজারে পিটিয়ে আহত করে রাজন মেলকার ও তাঁর লোকজন। নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক হাসাইল বাজারের কতিপয় বাসিন্দা জানান, দিনকে দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠছে রাজন মেলকার। দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানা অনেকেই।
Leave a Reply