বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাংবাদিকদের প্রতি খুব আন্তরিক । এই আন্তরিক বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট করেছেন । প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গেলে সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট নিয়ে অনেক অসন্তষ্টির কথা শুনি, কিন্ত ট্রাস্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ও লোক আছেন আছেন এবং ইউনিয়নের ও নেতৃবৃন্দ আছেন। আপনেরা তাদেরকে বলবেন এবং মুলজায়গা বরাবর বলতে হবে ।
আমরা জানি অনেকেই পুরোপুরি হেল্প পায়না অনেকেই অসুস্থ হয়ে যখন রিলিফ চায় তখন তার মৃত্যু হয় । যেটা আমরা কামনা করিনা । কল্যান ট্রাস্টের যে ফরম আছে তা নিখুত ভাবে পুরন করে আপনেরা কল্যান ট্রাস্টের অফিসে জমা দিবেন অবশ্যই আপনেরা সহযোগীতা পাবেন । প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বড় আবিষ্কার হলো সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট । এই ট্রাস্ট যদি সাংবাদিকদের যদি এটা কাজেই না লাগে তাহলে এটা অর্থহীন হয়ে যাবে । আমরা চাই এটা কাজে লাগুক, গরীব ও অসুস্থ সাংবাদিকরা সহযোগীতা এবং উপকার পাক । সাংবাদিক সমাজ বিপদে পড়লে যেন আশ্রয় পায় বিপদ থেকে বের হতে পারে।
ডাটা বেজ নিয়ে তিনি বলেন যারা ঢাকার সাংবাদিক তারা সম্পাদকের দস্তখত নিয়ে প্রেস কাউন্সিলে জমা দিতে হবে। আর যারা মফস্বল সাংবাদিকতা করেন তারা ফরমটা পুরন করে সম্পাদকের দস্তখত নিয়ে জমা দিবেন ডিসি অফিসে । ডিসি কয়টা পত্রিকা আছে সবকিছু জেনে তারপর প্রেসকাউন্সিলে পাঠাবেন।
প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান আরো বলেন এই পর্যন্ত যে ফরম পেয়েছি তা কিন্ত আমরা ভালোভাবে পাইনি বেশীর ভাগ অসম্পুর্ন । যার কারনে আমরা অনেক ফর্ম গ্রহন করতে পারিনি ।
যে পত্রিকায় কাজ করেন সে পত্রিকার মাধ্যমে ডাটা বেইজে ফরম পুরন করে আসতে হবে । আজ সাংবাদিকদের জন্য ডাটাবেইজ করা হচ্ছে সাংবাদিকদের সরকারী লিষ্টের ভিতরে নিয়ে আসার জন্য। ডাটাবেইজ কেন করা হচ্ছে প্রসঙ্গে বলেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন আইনজীবিদের লিস্ট আছে বার কাউন্সিলে, ডাক্তারদের লিস্ট আছে বিএমডিসিতে কিন্ত সাংবাদিকদের কোন লিস্ট নেই । এটা হওয়া দরকার বলে মনে করেন দেশের স্বার্থে, সাংবাদিকদের স্বার্থে । এই কাজটি আমরা শুরু করেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় । জাতিক জনক বঙ্গবন্ধু যেমন সাংবাদিকদের ভালোবাসতেন তেমনি ওনার কন্যা শেখ হাসিনাও সাংবাদিকদেও প্রতি আন্তরিক ।
সাংবাদিকদের সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠা শুক্রবার চট্টগ্রাম চৌমুহনী রাজপ্রাসাদ কমিউনিটি সেন্টাওে বিকেল ৪টায় সংগঠনের মহানগর কমিটির সভাপতি সাংবাদিক কে এম রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাছিম । দিলরুবা খানম ছুটির উপস্থাপনায় অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নির্বাহী কমিটির সভাপতি শাহজাহান মোল্লা, সাবেক প্রেস কাউন্সিল সদস্য ও দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক জি এম কিবরিয়া , জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসচিব কামরুল ইসলাম জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বাশার মজুমদার, সাংবাদিক সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি খাইরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টুরিষ্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।
এরপর স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংস্থার মহানগর কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন ।
বক্তারা বলেন, ‘সাংবাদিকরা দেশের নিরব পাহারাদার। তারা দেশ, সরকার, জনপ্রতিনিধি তথা নীতিনির্ধারকদের সহযোগী। তাঁরা জনপ্রতিনিধিদের ছায়া স্বরুপ। সংবাদকর্মী প্রতিনিধিদের পাশে থাকে সব সময়। একজন সংবাদকর্মী নীতিনির্ধারকদের সহজ পথটি দেখিয়ে দিতে সাহায্য করে। সাংবাদিক রাজনীতিবীদের বিপরীত কর্মকান্ডের যেমনি গঠনমূলক সমালোচনা করে তাঁকে সাহায্য করেন, তেমনি প্রতিনিধির দেশ ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজের জন্য আরো উৎসাহিত করতে চালিয়ে যান পৃষ্ঠা ভরপুর তাঁর লেখনি। সাংবাদিক কারো বন্ধু নয়। আবার কারো শত্রুতা করাও সংবাদকর্মীর কাজ নয়। সাংবাদিক তাঁর দু’চোখ ও তথ্য উপাত্তের মাধ্যমেই তাঁর কলম চর্চা করেন। একজন কলম সৈনিক তাঁর কলমের সাথে কখনো আপোষ করে না। এক কথায় বলা যায় একটি সংবাদ পত্র ও একজন গণমাধ্যমকর্মীর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সাংবাদিককে হতে হবে দায়িত্বশীল। প্রচার করতে হবে বস্তনিষ্ট ও সঠিক সংবাদ।
বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ- সভাপতি মাওলানা ইউসুফ, সহ- সভাপতি জিন্নাত আলী, জাফরুল ইসলাম জাহিদ, যুগ্ম সম্পাদক ফোরকান সিকদার, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ হাসান, মাহবুবুল আলম, অর্থ সম্পাদক শেখ আহমেদ শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, জালাল উদ্দীন। কার্যকারী সদস্য মোঃ আবদুস সামাদ রুবেল, সাধারন সদস্য রতন বড়ুয়া, মিলন বৈদ্য শুভ, সঞ্জয় বড়ুয়া সহ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ।
সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয় ।
Leave a Reply