চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে আপন বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন কী মৃত ভাইয়ের স্ত্রীকে দিয়ে বড় ভাই সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক দিদারুল হক বাদলকে হাফ ডজন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করায় পরিবারটি বর্তমানে চরম হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। দিদারুল হক বাদল। তিনি চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দিদারুল হক ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও চাকরির সুবাদে ৮৩ সাল থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পালাকাটা গ্রামে। তারা চার ভাই-দুইবোন। দিদারুল হক বাদলের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
অন্যত্রে বসবাস করলেও মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে পারছে না দিদারও তার পরিবার। তার আপন ছোট ভাই পশ্চিম কোনাখালী বাংলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের অত্যাচারে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। দিদারুল হক বাদল জানান, অপর ভাই ফরিদুল হক মারা যাওয়ার পর থেকে তার ও আমার সম্পত্তি আত্মসাৎতের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে ছোট ভাই মাষ্টার সাইফুল হক। আমার মারা যাওয়া ছোট ভাই ফরিদুল হকের স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থানে বিচার শালিশে সে এই অবৈধ সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়। তার অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বজনদের মধ্যে জানাজানি হলে আমার পেছনে লেগে থাকে সাইফুল। শুরু হয় আমার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ।
এভাবে তারা ক্ষান্ত হননি এরআগে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঘরে আগুন লাগলেও অথচ মামলায় আমাকে আসামী করা হয়। এই মামলায় পুলিশ তদন্ত করে আমার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় চার্জশীট থেকে আমার নাম বাদ দেন। ফরিদুল হকের স্ত্রী শওকত জাহানকে দিয়ে যশোহর সেনানিবাসে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে ২০১৫ সালে একটি অভিযোগ করেন। এই অভিযোগে আমার সম্পৃক্ততা পায়নি। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এখানেও অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি। এতে ক্ষান্ত না হয়ে বিভিন্ন অনলাইন টিভি ও গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে আমার মা ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও তার স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে পরিবারের মানহানি করছে।
মাষ্টার সাইফূল হক একজন মামলাবাজ। সে ঢেমুশিয়ার এক নারী ইউপি সদস্যকে বিভিন্নভাবে কু প্রস্তাব দেন। এ সংক্রান্ত ওই নারী ইউপি সদস্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ঘটনার পূনরাবৃত্তি হবেনা মর্মে একটি মুচলেখা প্রদান করেন। এভাবে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আমাকে আসামী করে আমার ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন। আমি একজন সামান্য সরকারী চাকুরিজীবি। এই সামান্য আয়ে আমার দুই ছেলেমেয়ে বিশ্বদ্যিালয়ে লেখাপড়া করেন। এ অবস্থায় আমাকে চাকুরিচ্যুত ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার কু-মানষে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করছে ছোট ভাই মাষ্টার সাইফুল হক। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply