1. admin@dwiptv.com : dwiptv.com :
  2. dwiptvnews2121@gmail.com : sub editor : sub editor
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন

জমি জমার বিবাদে জড়িয়ে বেপড়োয়া মারপিট ও শ্লীলতাহানি

সফিকুল ইসলাম (লালমনিরহাট প্রতিনিধি)
  • আপডেট: বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১
জমি জমার বিবাদে জড়িয়ে বেপড়োয়া মারপিট ও শ্লীলতাহানি
জমি জমার বিবাদে জড়িয়ে বেপড়োয়া মারপিট ও শ্লীলতাহানি

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ধবলগুড়ি আদর্শ পাড়া মৌজার জমিজমার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারামারি শুরু হয়, পেনাল কোড ১৮৬০, ধারা মোতাবেক বেআইনি জনতা দল গত হইয়া বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করত হত্যার উদ্দেশ্যে মিলন হোসেনের বাড়িতে আক্রমণ করে সাধারন গুরুতর জখম ভয়-ভীতি প্রদানের অপরাধ করে আসামিপক্ষ তাদের ভারী দলবদ্ধ নিয়ে সবসময় উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে । ঘটনার সময় ১৩/০২/২০২১ইং,৩০ মাঘ ১৪২৭ বাংলা রোজ শুক্রবার সময় অনুমান দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায় মিলন হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় উক্ত আসামি গন একদলীয় জামায়াত শিবিরের ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে উঠে এক দুর্দান্ত প্রকৃতির দাঙ্গাবাজ জুলুমবাজ চাঁদাবাজ প্রতারক পর ধনী ব্যক্তি হইতেছেন বটে, বাদিও আসামি গনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলিয়া আসিতেছে।

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় মিলন হোসেন মোঃ লুৎফুর রহমান গং জনের বিরুদ্ধে জিয়ার ১০৮/২০(পাট)ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৫৪/৫০৬/ ১১৪/৩৪ দন্ডবিধি মোকাদ্দমা অনায়ন করেন, অভিযোগকারীর নাম মিলন হোসেন ৩৮, পিতা-মৃত সালায়মান আলী ,স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রামঃ ধবলগুড়ি আদর্শ পাড়া উপজেলা থানা পাটগ্রাম লালমনিরহাট, উক্ত মামলার আসামি গন একেই এলাকার বাসিন্দা সরেজমিনে জানা যায় আসামিরা হলেন মিলন হোসেনের বিমাতা ভাই, মোঃ লুৎফুর রহমান (৫৫) মোহাম্মদ মিন্টু মিয়া (৫২) গং উভয়ের পিতা মৃত মোহাম্মদ সোলায়মান আলী । ও তাহার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, বর্তমানে মোকদ্দমা টি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে, মামলা টি আদালতের সরোনাপন্ন হওয়ায় পরে বাদী ও তাদের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া সকল আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক হাতে লাঠি লোহার রড ,দাও বটি ও দেশিও মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া মিলন হোসেনের স্ত্রী ও তাহার সাক্ষীকে তার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া বাঁদিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ।

 

 

এসময় বাদী মিলন হোসেনের স্ত্রী মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন আসামি গনের গালিগালাজের কারণ জিজ্ঞাসা করা মাত্র ১নং আসামী মোঃ লুৎফুর রহমান অপরাপর আসামিকে হুকুম দিয়া বলে যে শালিকে ধরো এবং মামলা করার স্বাদ মিটাইয়া দাও, হুকুম পাওয়ামাত্রই আসামির হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা এক নং সাক্ষী অর্থাৎ মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিনের মাথায় বরাবর এক নং সাক্ষী অর্থাৎ মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিনের আঘাত করলে মাথার বাম পাশে চোরাকাটা রক্তাক্ত জখম হয়। যাতে আটটি সেলাই আছে, সাক্ষী মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন এর শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হলে গত ১৫/০২/২০২১ইং তারিখে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পাটগ্রাম লালমনিরহাট এর কর্তব্যরত ডাক্তার এক নং সাক্ষী কে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন, বাদী এক নং সাক্ষী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং করোনা 19এর মহামারীর কারনে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করি ব্যর্থ হইয়া,পাটগ্রাম থানায় লিখিত এজাহার দিতে গেলে থানায় আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিদায় দেন, যেহেতু নিরুপায় হইয়া হুজুর আদালতে মামলা দায়ের করেন  এবং নালিশ আনায়নে কিছুটা বিলম্ব হইলে সাক্ষীগণ সমুদয় ঘটনা জানেন বিচারকালে প্রমাণ করবেন বলে আমাদেরকে জানান ।

 

 

আসামী মোঃ লুৎফুর রহমান গং উক্ত ডাং মারের চোটে এক নং সাক্ষী অর্থাৎ মোছাম্মৎ সাবিনা ইসমিন মাটিতে পড়িয়া যায় এই সুযোগে ১৩ নং আসামী একজন সাক্ষীকে হত্যার উদ্দেশ্যে এক নং সাক্ষী বুকের উপর বসিয়া তার দুই হাত দ্বারা হত্যা করার চেষ্টা করেন বলে জানা যায়, আমরা তাহার বাড়িতে গিয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের মুখ থেকে এসব কথাগুলো শুনতে পাই তারপর আশপাশের মান্যগণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলি, আমরা সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন যে তাদের বাড়িতে যায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ঝগড়া বিবাদ প্রায় অনেকদিন ধরেই লেগেই থাকত ।

 

বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সহ একাধিকবার আসামিপক্ষকে মীমাংসা করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন কিন্তু আসামিপক্ষ কোন ক্রমেই বিচার মীমাংসা তোয়াক্কা না করেই নিজ বলে পেশী শক্তি দ্বারা বাদী পক্ষ কে আক্রমণ করে আসছেন ঞ i, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মন্তব্য করেন, সকলেই চায় বিষয়টি মীমাংসা হয় দু’পক্ষের হতাহত-ক্ষয়ক্ষতির লাঘব করার জন্য, ও এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলে সুরাহা করার জন্য চেষ্টা করেন। উক্ত বিষয়টি আদালতে বিচারের জন্য মোহাম্মদ মিলন মিয়া বাদী হইয়া আদালতের শরণাপন্ন হন, উক্ত বিজ্ঞ আদালত ঘটনার পর্যালোচনা করে আসামীদেরকে গ্রেফতারের আদেশ দেন ।

 

 

এরই প্রেক্ষিতে পাটগ্রাম থানায়, গ্রেপ্তারের আদেশের কপি আসলে পরে উত পাটগ্রাম থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব ওমর ফারুক অফিসার্স ইনচার্জ আসামিদের গ্রেফতারের আদেশ দেন, গত ২০/০৬/২০২১ইং, রাত্রে আসামি লুৎফর রহমানকে ধরতে গেলে পুলিশের সঙ্গে দস্তাদস্তি সহ আসামিদের নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়েন, এমনতো অবস্থায় পুলিশের সদস্য সহ সরকারি অস্ত্র রক্ষার্থে পুলিশ জোর করে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে আসে থানায়, তারপর বিজ্ঞ আদালতে প্রণয়ন করেন, এমন্ত অবস্থায় বাকি সব আসামি তাদের বাড়িঘরে উপর্যপরি আক্রমণ করার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে, তারা বলে যে ব্যাটা মামলা উঠাও না হলে তোদের দুই ভাইকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিব, এহেন হুমকির প্রেক্ষিতে বাদী পক্ষের লোকজন বিভিন্ন স্থানে জীবন রক্ষার্থে আত্মগোপন করেন, বিষয়টি পাটগ্রাম থানার অফিসার্স ইনচার্জ জনাব ওমর ফারুক অবগত আছেন বলে আমাদেরকে জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

আমাদের এন্ড্রয়েড এপস আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন।

Developer By Zorex Zira