কক্সবাজারের চকরিয়ায় শত বছরের জায়গার উপর দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কতৃক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীগন।চকরিয়া উপজেলার বড়ইতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পশ্চিম হিন্দুপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী ঐ এলাকার হরি মোহন দত্তের ছেলে দেবানন্দ দত্ত বাদি হয়ে গত ২০মার্চ উপজেলা ম্যাজিস্টট আদালতে ২জনকে আসামী করে নালিশী অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে উপজেলার বড়ইতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হিন্দু পাড়া এলাকার মৃত হরি মোহন দত্তের ছেলে দেবানন্দ দত্তের বিএস২৫৯৮ খতিয়ানের৫৬৮৬ দাগের ২৯ শতক জমি রয়েছে। উক্ত বসতবাড়িতে তার পূর্ব পুরুষক্রমে ঘরবাড়ি নির্মাণ গাছপালা রুপন করে শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘকাল যাবত ভোগ দখলে রয়েছেন।বর্তমানে সরকারি ভাবে রাস্তার উন্নয়নের কাজের জন্য তাদের দুইশত বছরের জায়গা পুরাতন রাস্তার উন্নয়ন কাজে স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক ঠিকাদারকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে উক্ত রাস্তার পার্শ্ববর্তী ভুক্তভোগির জায়গার উপর দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারা করে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভুগী জায়গার মালিক দেবানন্দ দত্ত।এ ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভুগী দেবানন্দ দত্ত বাদী হয়ে গত ২০ মার্চ উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই এলাকার মৃত হরমোহন দাসের ছেলে সবুজ কান্তি দাস নিবারণ দত্তের ছেলে বসুদেব দত্তকে আসামী করে একটি নালিশ অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী দেবানন্দ দত্ত বলেন, সদ্য সমাপ্ত হওয়া ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক আমার দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন।শুধু তাই নয়,এলাকায় মৃত হরমোহন দাসের ছেলে সবুজ কান্তি দাস ও মৃত্যু নিবারণ দত্তের ছেলে বসুদেব দত্তের যোগসাজশ মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান কোন ধরনের কথায় কর্ণপাত না করে একপক্ষীয় ভাবে আমার জায়গার উপর দিয়ে অন্যায় ও অহেতুক ভাবে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনার বিষয়ে বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান বলেন,স্হানীয় সরকারের বরাদ্দ রাস্তাটি নির্মাণ করেছে।ইউপি নির্বাচনের পূর্বে থেকে রাস্তাটি নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া চলে আসছে।সরকার যেইখানে যেইরকম প্রয়োজন সেই জায়গায় দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করবে। এখানে আমার কোন হাত নেই। রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অবগত রয়েছেন বলে তিনি জানান।
Leave a Reply