খুলনার তেরখাদা উপজেলার আড়কান্দী গ্রামে পাঁচ বছর বয়সী তানিশা আক্তার নামের এক ঘুমান্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে শিশুটির সৎ মা মুক্তা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত (৫ এপ্রিল) সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে এঘটনা ঘটেছে। নিহত তানিশা আক্তারের পিতা তেরখাদার আড়কান্দী গ্রামের খাজা শেখে বাংলাদেশ আনসার ব্যাটালিয়নে চাকরিরত।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ছাগলাদহ ইউনিয়নের আড়কান্দী গ্রামে নিহত তানিশা আক্তারের পিতা খাজা শেখ সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ঘটনাকালে বাড়ীতে ছিলেন না। বিভিন্ন সময়ে পিতার বাড়ীতে এলে নির্যাতন করতো সৎ মা মুক্তা। সর্বশেষ গতকাল সোমবার শিশু তানিশা বাবার বাড়ীতে বেড়াতে এসে দাদীর কাছে ঘুমায়। সেখান থেকে সৎ মুক্তা তাকে উঠিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। রাত ১০টার দিকো ঘুমান্ত শিশু তানিশা আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় মুক্তা খাতুন। রক্তাক্ত জখম তানিশার চিৎকার স্থানীয় লোকজন শুনতে পেয়ে ঘরে গিয়ে রক্ত দেখে তেরখাদা থানায় সংবাদ দিলে দ্রুত সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির সৎ মা মুক্তা খাতুনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্ত মাখা ধারালো দা।
রাতেই ঘটনাস্থলে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) এস,এম রাজু আহমেদ পরিদর্শক করেছেন।
জানা গেছে, সাত বছর পূর্বে একই উপজেলার আক্কাস শেখের মেয়ে তাসলিমাকে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেছিলেন খাজা শেখ। পরে দাম্পত্যকলহের একপর্যায়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। বছর দেড়েক হল মুক্তা খাতুনকে বিবাহ করেন খাজা শেখ। কিন্তু কোনভাবেই শিশু তানিশা আক্তারকে মেনে নিতে পারছিলেন না সৎ মা মুক্তা খাতুন। এঘটনার জেরধরেই ঘুমান্ত শিশু তানিশা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মুক্তা খাতুন।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তিনি বলেছেন, সৎ মায়ে তানিশাকে হত্যা করেছে। শিশুটির বাবা আনছার ব্যাটেলিয়ান পুলিশে চাকুরি করে। প্রথম স্ত্রী বছর দেড়েক আগে ডিভোস দেন খাজা শেখকে। পরে তিন /চার মাস নতুন বিয়ে করেছে। কিন্তু সৎ মা শিশু তানিশাকে মেনে নিতে পারিনি। হত্যাকান্ডের পেছনে আর কোনো কারণ আছে কিনা, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Leave a Reply