মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ঝটিকা অভিযানে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন অভিযোগ সত্যতা মেলায় আলাদা তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন দায়ে ভিন্ন অংকের অর্থদন্ড করা হয়।
আজ ২৪ জুন সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ জেলা সহকারি পরিচালক আসিফ আল আজাদ নির্বাহী বিচারক দায়িত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালিত হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা স্যানিটেশন ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ফারহানা খান, গজারিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সবুজ উর রহমান।
পরিচালিত অভিযানে সরেজমিনে জানা যায়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ মজুত ও প্রদর্শন রাখায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারা মতে উপজেলার দড়ি বাউশিয়া বাস স্ট্যান্ডে মা ফার্মেসি কে তিন হাজার ও পাঠান ফার্মেসি কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে নতুন চর চাষীতে অবস্থিত ইসলাম ব্রাদার্স এন্ড এগ্রো লি. বেকারী খাবার উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠানে ৬টি পন্যে বি.এস.টি.আই ও ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক হালাল খাদ্য ছাড়পত্র নেই।ছাড়পত্র ব্যাতিত প্রতিষ্ঠান গুলোর লগো নকল করে ভূয়া মিথ্যা লগো ব্যবহার ও বিপননের দায়ে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় কোম্পানীটি কে ১৫০০০হাজার টাকা জরিমান ও সর্তকতা করা হয়।
ইসলাম ব্রাদার্স এন্ড এগ্রো লি. কোম্পানীটির উৎপাদিত পন্য মধ্যে ৬টি আইটেমে সত্যতা পাওয়া যায় লগো জালিয়াতির। সরেজমিনে দেখা যায় কোম্পানিটির উৎপাদিত দুই পদের সেমাই, অরেঞ্জ ও লিচু ড্রিংস, মুড়ি ও কয়েক পদের কেক এর মোড়কে বি.এস.টি.আই ও হালাল লগো অনুমোদনহীন ভাবে ব্যবহার করে ভোক্তাদের প্রতারিত করছিলো।
Leave a Reply