কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক ইউপি মেম্বার মো. আবদুর রহিম খুন হয়েছে। মঙ্গলবার(০৬ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ৪নং উত্তর ঝলম ইউপির ৮নং ওয়ার্ড ধিকচান্দা গ্রামে দশআনি বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার(০৬ জুলাই) সকালে ইউপি ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুর রহিম তার বাড়ীর পাড়ায় লীজকৃত পুকুর পাড় পরিদর্শন শেষে দশআনি বাড়ির সামনে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওঁত পেতে থাকা একই পাড়ার রহমত আলী ওই মেম্বারকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করলে নাকে-মুখে রক্তক্ষরন শুরু হয়।
তার আত্মচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা সদও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক রহমত আলীকে তাৎক্ষনিক আটক করে গণ পিটুনি দেয় এবং তার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে মনোহরগঞ্জ থানা পুুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন এবং জনতার গণপিটুনিতে আহত ঘাতক রহমত আলীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও এলাকার জনপ্রিয় মেম্বার আবদুর রহিমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লায় মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, এলাকার জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ওয়ার্ড মেম্বার আবদুর রহিমের অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ওই মেম্বারের স্ত্রী আয়েশা বেগম, ৩ সন্তান সহ স্বজনরা অনেকটাই বাগরুদ্ধ।এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তবে এ হত্যাকান্ড স্থানীয় নোংরা রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক নানাহ বিষয় ঘিরে এলাকার জনমনে নানাহ বির্তক চলছে। অবশ্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডের আসল রহস্য বের করে আনবেন বলে দাবী এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মুহিতুল ইসলাম ও মনোহরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুল কবির পৃথক পৃথক ভাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে নিহত মেম্বারের স্বজনরা এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়।
Leave a Reply