কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার চন্দনা বাজারে মেসার্স হক ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানে আবুল খায়ের কনজিউমার প্রোডাক্ট ও সবিজ কর্পোরেশন এর ডিলারে ২৫ই সেপ্টেম্বর রাতে লাকসাম উপজেলার চন্দনা বাজার মসজিদের মুয়াজ্জিন ফজরের নামাজের আযান দিতে এসে দোকানের শাটার খোলা দেখে দোকানের মালিক মোঃ ফজলুল হক অবগত করলে, দোকানের মালিক ফজলুল হক ঘটনাটি লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়াকে জানালে, অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া লাকসাম থানায় কর্মরত এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মাকসুদুর রহমান’কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মাকসুদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স সহ তাৎক্ষনিক বাদীকে সাথে নিয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক নোয়াখালী জেলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পরবর্তীতে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানাধীন বজরা এবং চাটখিল থানাধীন চাটখিল এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিমত্তার সহিত সাড়াশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে উক্ত চুরির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ ইলিয়াছ হোসেন সোহাগ, তার ০২ সহকারী-মোঃ তানিম ও মোঃ রাশেদকে আটক করিতে সক্ষম হয়।
আটককৃত আসামীদের তথ্যের ভিত্তিতে সুকৌশলে মোরশেদ আলমকে আটক সহ চুরি হওয়া অটো রিক্সা উদ্ধার করেন এবং আবদুর রহিমকে আটক সহ তাহার নিকট থাকা চোরাই অপর একটি কফি মেশিন ও গুড়া দুধের কার্টুন উদ্ধার করেন। আন্তরিক প্রচেষ্টায় সংবদ্ধ চোর চক্রের ৬ সদস্যকে পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে লাকসাম থানায় নিয়ে আসে। চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে ২ টি কফি মেশিন, ৩ হাজার টাকার গুড়া দুধ ও একটি ব্যাটারি চালিত অটো বক্স গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দুপুরে লাকসাম থানা পুলিশের আয়োজনে একটি প্রেস ব্রিফিং করা হয়। আটককৃতরা হলেন ১। মোঃ ইলিয়াছ হোসেন প্রকাশ সোহাগ(৩৩), পিতা- মৃত বদিউজ্জামান, বেগমগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালী, ২। মোঃ তানিম(২০), পিতা- নুরুল আমিন,থানা- বেগমগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালী, ৩। মোঃ রাশেদ (২৪), পিতা- মৃত আব্দুস সাত্তার, বেগমগঞ্জ, থানা- সোনাইমুড়ী, জেলা- নোয়াখালী,৪। মোর্শেদ আলম(৩৯), পিতা- আবুল বাশার, থানা- চাটখীল, জেলা- নোয়াখালী, ৫। আলা উদ্দিন(২১), পিতা- দেলোয়ার হোসেন, থানা- বেগমগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালী, ৬। আব্দুর রহিম(৪৭), পিতা- মৃত ওসমান আলী, বজরা ইউপি, থানা- সোনাইমুড়ী, জেলা- নোয়াখালী। লাকসাম থানার মামলা নং ০৩।
Leave a Reply