গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে করাত কল থেকে বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনের সেই শতবর্ষী গাছ ও কাটা ডাল পালাগুলো এখন প্রকৌশলীর হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এর আগে বিষয়টি মিডিয়ার নজরে এলে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরে দ্রুত করাত কলে পাঠানো সেই শতবর্ষী গাছ এবং ডালপালাগুলো নিজ কার্যালয়ে নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে) আব্দুর রাজ্জাক। বামনডাঙ্গার সিনিয়র উপ-সহকারি প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) আব্দুর রাজ্জাক করাত কলে পাঠানো গাছ ও ডাল পালাগুলো নিজ হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ভুলে এ কাজটি করা হয়েছিলো।
করাত কলে পাঠানো সেই গাছ ও ডাল পালাগুলো এখন আমার হেফাজতে রয়েছে।বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন উচুঁ ও বর্ধিতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অযুহাত দেখিয়ে বৃটিশকাল থেকে কালের সাক্ষী হয়ে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে থাকা ঐতিহ্যবাহি শতবর্ষী জীবিত ৬টি রেইনট্রি গাছের ডালপালা ও ২টি শিমুল গাছ কাটেন সিনিয়র উপ-সহকারি প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) আব্দুর রাজ্জাক। এতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি কিংবা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। শতবর্ষী গাছের সাথে এমন নির্মমতা চালাতে তাকে সহযোপগিতা করেন স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয়রা।
কেটে নেয়া গাছ ও ডাল পালাগুলো যে জায়গায় রাখা হয় সেখান থেকে আব্দুর রাজ্জাকের নির্দেশে বামনডাঙ্গা বন্দর এলাকার স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তির করাত মিলে নেয়া হয়। পরে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচরে বসেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগ সূত্র জানায়, দ্বিতীয় শ্রেনির আধুনিক প্লাটফর্ম নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে। এতে মুল প্লাটফর্মের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ও উঁচু করণের কাজ চলছে। কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি তেতাল্লিশ লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার আটশত টাকা। কিন্তু নতুন নকশায় নির্মানাধীন স্টেশনটির প্লাটফর্ম উন্নয়নে বাঁধা দেখছে শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছ। তাই যাত্রীদের ঝুঁকি কমাতে সেসব গাছের ডালপালা কেটে ফেলছে কাজের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী।
Leave a Reply