কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ছোট ভেওলা জামে মসজিদ ব্যবহার করে কোরআন শপথ করিয়ে সামাজিক অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা। যে কোন মুহূর্তে সংঘাতের আশংঙ্খা। গত ০৮ আগষ্ট ২০২১ তারিখ আনুমানিক রাত ১০ ঘটিকার সময় কৈয়ারবিলে’র ছোট ভেওলা জামে মসজিদ এর মধ্যে মসজিদ কমিটির সভাপতি মৌলানা আবদুস সালামের ইন্দনে এনামুল হক, ওসমান গণি, আলিম উল্লাহ, হাকীম আলী, আবু হানিফ, আব্বাস উদ্দীন গং দের নেতৃত্বে অত্যন্ত সচেতন ভাবে পবিত্র মসজিদ ও কোরআন শরীফকে ব্যবহার করে গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টার বিরুদ্ধে পরের দিন ০৯ আগষ্ট উপজেলা র্নিবাহী অফিসারের নিকট জনৈক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মুহাম্মদ যুবায়ের এর নির্দেশে মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের এস আই (সাব ইন্সপেক্টার) সুজা উদ-দ্দৌলার কাছে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। যাতে পবিত্র মসজিদ, কোরআন ও মসজিদের মাইক ব্যবহার করে দখলবাজি, মারামারি ও সামাজিক বিভাজন দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টির বিরোদ্ধে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কছে করা আবেদন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে করবস্থানের জমি দখলের অভিযোগ এনে এলাকার প্রতিষ্ঠিত পরিারের সম্মান হানির চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল বিকালে করবস্থানের জমি দখলের অভিযোগ এনে স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালে নিউজ করলে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
যাদের বিরোদ্ধে কবরস্থানের জমি দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে তারা বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে প্রত্যাখান করে। তারা বলে জমির ব্যাপারে ডকুমেন্টস কথা বলবে মসজিদ ব্যবহার করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির কোন মানে হয় না। জনৈক মৌলানা আবুল হোছাইন এর অসুস্থতার সুযোগে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী জোর পূর্বক তার জমিকে কবরস্থান বানানোর ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়। একই সাথে আসলেই কবরস্থানের জমি কেউ জোর করে দখল কিংবা জমির মালিকানা আদৌ কবরস্থানের কিনা মাননীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়।
অভিযুক্তদের দাবী ভেওলা মানিকচর মৌজার আর এস ১৯৭১ ও বিএস ৫৭৮১ দাগের ক্রয় সূত্রে ৩৬.৫০ শতক ও আর এস ১৯৭৯ ও বিএস ৫৭৮২ দাগের লিজ সূত্রে ৪০ শতকের বাইরে তৌহিদ গং এর দখল ও নাই দাবী ও নাই। উল্লেখ্য অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের উদ্যেগে ও নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম কমিঠি চকরিয়া গঠিত হয় এবং পরিবারের সকল সদস্য সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে। এলাকার একমাত্র পরিবার যেইটা পাকবাহিনী আগুন দিয়ে ভস্মিভূত করে। আমরা পারিবারের সকল সদস্য স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনীতির সাথে বংশপরম্পরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত এবং শতভাগ উচ্চ শিক্ষিত নাগরিক এবং প্রত্যেকে সমাজের উন্নয়নে বিভিন্ন ইতিবাচক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছি। বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্টির কিছু সদস্য স্থানীয় গুটি কয়েক সুবিধাভোগীদের সমন্বয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদের জান মাল ও পারিবারিক ক্ষতি সাধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি সহ উধস্থন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
Leave a Reply