গত এক বছরের অধিক সময় আগে বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে যায় মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলা বাইনখাড়া ব্রিজটি। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর নির্মিত ব্রিজের এপ্রেচ গত এক বছরেও স্থায়ীভাবে সংস্কার না করায় ফের ধসে পড়েছে। আজ বুধবার ভোর রাতের দিকে ফের আবারো ধ্বসে যায় ব্রিজের এপ্রোচটি। এতে চরম বিপাকে পড়েছে ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া-হাসাইল সড়কের বাইনখাড়া এলাকার ওই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
এর আগে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ওই সংযোগ সড়কের সেতুটির গোড়ার মাটি পানির তীব্র স্রোতের কারণে ধসে যায়। এতে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই ব্রিজের গোড়ায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে রাখা হলেও তার উপর দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারতো । তবে যান চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু উজান হতে নেমে আসা ঢলের পানিতে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ওই ব্রিজ সংলগ্ন পদ্মা নদীতে পানির স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের তোড়ে আবারো ভেঙে গেছে ব্রিজটির এপ্রোচ। এপ্রোচ ধ্বংসের কারনে উপজেলার বাইনখাড়া, নশংকর, কামারখাড়া, ভাঙ্গনিয়া, হাসাইল, আদাবড়ি, বরাইল, চৌসার, ভিটিমালধাসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের সঙ্গে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর ও ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পানির তীব্র স্রোতের কারণে এই সেতুটির গোড়ার মাটি বেশ কয়েকবার ধসে যায়। প্রায় ১২ বছর আগে নদী-সংলগ্ন বাইনখাড়া এলাকার লোকজন নিজেদের উদ্যোগে সেতুটির নিচে দেয়াল নির্মাণ করে স্রোত প্রবেশ বন্ধ করে। কিন্তু গত বছর বন্যার কারণে সেতুটি ভেঙে যায়। এছাড়া সেতুর অ্যাপ্রোচ শক্ত না করে নিচের দেয়াল ভেঙে ফেলাকে প্রশাসনের ভুল পরিকল্পনা বলে প্রশাসনকে দায়ী করেন তারা। জরুরি ভিত্তিতে অ্যাপ্রোচ সংযোগ করে সেতুটি দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কামারখাড়া ইউপি সদস্য মোঃ পলাশ জানান, গতরাতে ব্রিজটির এপ্রোচ আবারো ভেঙে গেছে। আগে মানুষ পায়ে হেঁটে পারাপার হতে পারলেও এখন তাও বন্ধ হয়ে গেছে। টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে অবহিত করলে প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় এমপি কেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply