যশোর অভয়নগরে স্বামী কনা মন্ডলের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিয়া মন্ডল (২৩) ও তিন বছরের কণ্যা কথা মন্ডলের হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে গতকাল নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে যশোর খুলনা মহাসড়কে নিহতের পরিবার,ইউনিয়নবাসী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তারু। পায়রা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগলীগ নেতা ফিরোজ আলম,ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, নিহতের নিকটতম আত্নীয় শিক্ষক শীতল কান্তি মন্ডলসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন,অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের নির্জন পল্লী এলাকার দত্তগাতি গ্রামের ভগিরথ মন্ডলের মেয়ে পিয়া মন্ডলের সঙ্গে জেলার মনিরামপুর উপজেলার অজেয় সুজতপুর গ্রামের ননি গোপাল মন্ডলের ছেলে মশিহাটী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক কনা মন্ডলের বিয়ে হয়।সংসার জীবনে তাদের ঘরে একটি কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়।আদর যত্ন করে সখ করে ননাম রাখা হয় কথা মন্ডল। কথার বয়স মাত্র তিন বছর।
গত ৭ আগষ্ঠ শনিবার আনুমানিক বিকাল তিন টার সময় কনা মন্ডলের বাসার রান্না ঘর থেকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিয়া ও একমাত্র কণ্যা কথার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও একাধিক বক্তাদের অভিযোগ, প্রভাসক কনা মন্ডল দীর্ঘদিন পরকীয়া প্রেমে হাবুডুবু।পরবর্তীতে প্রেমের বিষয়টি তার স্ত্রী পিয়া জেনে যায়। সে কারণে কনা মন্ডল পরিকল্পিতভাবে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিয়া ও একমাত্র সন্তান কথা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
ঘটনাটি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে এ হত্যা কান্ড থেকে নিজেকে বাঁচার জন্য গলায় ফাঁস দিয়ে মৃতদেহ দুইটি রিন্না ঘরে ঝূলিয়ে রাখেন।ঘাতক কনি মন্ডলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্থমূলক শাস্তির দাবি করেন একাধিক বক্তারা
মানব বন্ধন শেষে কনা মন্ডলের শাস্থির দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি পেশ করা হয়।
Leave a Reply