যশোরের অভয়নগরে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকার (৩০) হত্যাকাণ্ডে এখনও মামলা দায়ের হয়নি। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারী আটকে কাজ করছে। এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন উত্তম সরকার। তিনি ওই গ্রামের প্রশান্ত সরকারের ছেলে। ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে ফুটবল প্রতীক নিয়ে সুন্দলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সুন্দলী ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামে নিহত উত্তম সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মানুষ বাড়িতে ভিড় করছে। টিনের চাল দেয়া বাড়ির বারান্দায় বসে নিহতের মা, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান কাঁদছে। গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সময় নিহতের মা শেফালী সরকার দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, নির্বাচন করায় আমার ছেলের কাল হয়েছে। বুকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এখন উত্তমের দুই শিশুর কি হবে ? নিহতের স্ত্রী শ্রাবন্তি সরকার বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। খুনের পরিকল্পনাকারী ও খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।
এ ব্যাপারে সুন্দলী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল জানান, এভাবে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা ইউনিয়নের জন্য শুভ লক্ষণ হতে পারে না। ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
অভয়নগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ না করায় মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারী আটকে কাজ করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply