কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার মৌকরা ইউপির মিয়ার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে পলাশের মুঠো ফোনে একটি কল আসে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা পলাশকে মিয়ার বাজার আসতে বলে এবং যা হয়েছে তার মিমাংসা করা হবে। পরে সে আরিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ারের নুরুন নবীর চা দোকানে যায়। জখম শিখার হন- জোড্ডা পূর্ব ইউপির হানগড়া গ্রামের এবায়েদুল হকের ছেলে মোজাম্মেল হক পলাশ ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন।
তারা উভয়ই জোড্ডা পূর্ব ইউপির ছাত্রলীগ নেতা। আগ থেকে উৎপেতে থাকা চানগড়া গ্রামের আবুল কালাম বাবু, জাহাঙ্গীর, ইয়াছিন, মামুন, নেছার, জহিরসহ ৭০-৮০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পলাশ ও আরিফকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শনিবার বিকেলে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ভূইয়া ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সুমন হাসপাতালে গিয়ে তাদের দেখে আসেন।
এ বিষয়ে আহত পলাশ জানান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবুল বাশার জয়ের নেতৃত্বে তার বাবুকে দিয়ে তার উপর হামলা চালায়। তিনি এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল বাশার জয় বলেন, তিনি এ ঘটনার কিছুই জানেন না। ঘটনার দিন রাতে নাঙ্গলকোট বাজারে ছিলেন। নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুন নুর জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি ঘটনাটি পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply