লকডাউনে পদ্মায় অবৈধভাবে স্পিডবোট চলাচল বন্ধে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে মাওয়া নৌপুলিশ। শিমুুলিয়া ঘাট এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে যাত্রী ও এসব নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) বিকেল ৪টার দিকে নৌপুলিশের উদ্যোগে ঘাটের প্রবেশমুখে বাঁশ ও নদীর অংশে চারদিকে রশি-লাল কাপড়-বয়া দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়। এতে ঘাটে স্পিডবোট ও যাত্রী প্রবেশের সুযোগ আপাতত আর থাকছে না।
মাওয়া নৌপুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাওয়া নৌপুলিশ স্পিডবোটের শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘাট এলাকায় সবসময় তৎপর ছিল। তবে মাদারীপুরের পদ্মায় দুর্ঘটনার বিষয়টি বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেছে। এ ঘটনার আর যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য আমাদের অবস্থান আরও জোরালো করা হয়েছে। ঘাটে বর্তমানে এক ডজন নৌপুলিশ সদস্য ডিউটিতে আছেন।
তিনি জানান, আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত যাতে কোনো ধরনের স্পিডবোট, ট্রলার চলাচল করতে না পারে সেজন্য রশি, বয়া, লাল কাপড় দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। ঘাট এলাকা পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে এবং সদস্যদের অবস্থান জোরদার করা হয়েছে। টহল ডিউটির পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ ডিউটিতেও আছেন আমাদের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, লকডাউনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনা চলছিল। তবে সে নিয়ম উপেক্ষা করেই পদ্মায় চলছিল এসব নৌযান। গত সোমবার (৩ মে) মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনায় একটি স্পিডবোটের ২৬ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচ যাত্রী। ওই দুর্ঘটনার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply