বান্দরবান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড হাফেজ ঘোনায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষিকার বহুবছরের পৈত্তিক বসতভিটার জায়গায় প্রশ্নবিদ্ধ অনুমোদনের মাধ্যমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য বেআইনি ভাবে চারতলা ভবন নির্মাণ, নির্যাতিত স্কুল শিক্ষিকাকে ও তার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে বাড়ির চালে ইট নিক্ষেপ,চলাচলের পথ দখল করা অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র জয়নাল গংয়ের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মোছা.সখিনা আক্তার প্রতিবেদক কে জানান,পূর্ব বিরোধের জেরে গত ১৩/০৩/২০২৫ ইং তারিখে ১নং অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের সহযোগিতায় আব্দুল মন্নান তার ঘরের চালে নির্মাণসামগ্রী (ইট) ছুড়ে মারেন। এতে ঘরের টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ঘরের ভিতরে জিনিসপত্র তছনছ হয়ে যায়।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। শিক্ষিকা আরও জানান, অদ্যাবধি নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং নির্মাণ শ্রমিক লতিফ, রফিক, রহিম, সাগরসহ ৫-৬ জন ব্যক্তি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ব্যাপারে বান্দরবান পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বহুতল ভবন নির্মাণে কোন বাঁধা প্রদান সহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে জানান নির্যাতিত স্কুল শিক্ষিকা।
প্রতিবাদ করলে জয়নাল ও আব্দুল মন্নান মোবাইলে ছবি তুলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তারা প্রকাশ্যে বলছেন, পূর্বেও যা করেছি, এবার আরও করবো, এমন ভয়ঙ্কর মনোভাব নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় পরিবারটিকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন।
সখিনা আক্তার আরো জানান, ভয়ে আমরা ঘরের বাইরে পর্যন্ত বের হতে পারি না। নিজে স্কুলে যাওয়া, চিকিৎসা বা বাজারে যাওয়াও বন্ধর উপক্রম হয়েছে, প্রতিনিয়ত হুমকি পেতে পেতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার বরাবর দেওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্মারক নং-১১৬৫/০, তারিখ: ১৪/০৫/২০২৫* অনুযায়ী বান্দরবান সদর থানায় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্তরা সময়-সুযোগ মতো সংঘবদ্ধ দল নিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিচ্ছে ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা নিজের জীবনের নিরাপত্তা, পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আদালতের আদেশ লঙ্ঘনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে যথাযথ প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা চেয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, যৌথবাহিনী,পৌর প্রশাসক,মানবাধিকার সংগঠন,সাংবাদিক সংগঠন,সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ’সহ সকলের নিকট ন্যায় বিচারের জন্য বিশেষ আকুত জানিয়েছেন।
এই ঘটনার সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের সঠিক বিচার করা হলে মানুষ আইনের প্রতি আরো বেশি শ্রদ্ধাশীল হবে। সমাজে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে।
Leave a Reply