1. admin@dwiptv.com : dwiptv.com :
  2. dwiptvnews2121@gmail.com : sub editor : sub editor
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন

বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা, সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১বছরের শিশু জিংক থান ময় বম

মুহাম্মদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান :
  • আপডেট: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা, সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১বছরের শিশু জিংক থান ময় বম
বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা, সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১বছরের শিশু জিংক থান ময় বম

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম মডেল বম পাড়া এলাকায় অগ্নিদগ্ধ এক শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করেছে সেনাবাহিনী। মানবিক এ সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগণ। জানা যায়, গত ৩০ মার্চ দুপুরে ১১ বছর বয়সী জিংক থান ময় বম চুলার পাশে বসে খাবার খাওয়ার সময় হঠাৎ করে তার পোশাকে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন তার শরীরের পৃষ্ঠদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ১৫ শতাংশ অংশ দগ্ধ হয়। দুর্গম এলাকায় উন্নত চিকিৎসার অভাবে পরিবার নিজ উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

এরপর ৬ এপ্রিল বান্দরবান সেনা জোনের লংলাইপাড়া আর্মি ক্যাম্পের একটি টহল দল ক্যাম্প কমান্ডার মেজর এস. এম. আনিসুজ্জামান উদয়-এর নেতৃত্বে ওই এলাকায় গেলে ঘটনাটি তাদের নজরে আসে। সেনা সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে উদ্ধার করে বান্দরবান ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স এমডিএস (MDS) হাসপাতালে নিয়ে যান।এমডিএস-এর উপ-অধিনায়ক মেজর সাইফুল ইসলাম জানান, “শিশুটির পিঠের প্রায় ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে নিয়মিত ড্রেসিং, অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যথানাশকসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি। এখন সে অনেকটাই সুস্থ, সংক্রমণের ঝুঁকি নেই বললেই চলে। আজ ২১ এপ্রিল-২০২৫ সোমবার শিশু টিকে বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট সময় পর আবার হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে সেনা জোনের একজন প্রতিনিধি জানান,
“ছোট্ট একটি শিশুর চোখে আমরা যন্ত্রণার পাশাপাশি বাঁচার আকুতি দেখেছি। পাহাড়ি এই জনপদে আমাদের উপস্থিতি শুধু নিরাপত্তার জন্য নয়, মানবিক সহায়তাও আমাদের দায়িত্বের অংশ। আমরা চেষ্টা করি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ন্যূনতম সহায়তা দেওয়ার, যেন তারা উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারে। সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালাতে কাজ করে যাচ্ছে।”

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই নয়, বিভিন্ন জনসেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে: ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, বিদ্যালয় ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা ও দুর্যোগকালীন ত্রাণ সহায়তা।

এ ধরনের মানবিক কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা দিন দিন আরও গভীর হচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করেন, সেনাবাহিনী শুধু একটি সুরক্ষা বাহিনী নয়, বরং প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানো এক নির্ভরযোগ্য অংশীদার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

আমাদের এন্ড্রয়েড এপস আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন।

Developer By Zorex Zira