চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সুদ কারবারি প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা এনজিওর মালিকের মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার সকালে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কাগমারি গ্রামে এই সংবাদ সম্মেলন ও মানবন্ধন করেন এনজিওর গ্রাহকগণ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামলার আসামী শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য গাজলুর রহমান বলেন, গত ৮ মে বসুন্ধরা এনজিও মালিক আবু তাহের কে তাদের গ্রাহকগণ আটক করে আটকে রাখে কাগমারি গ্রামের ওবায়দুল এর উঠানে। এই সংবাদের প্রেক্ষিতে ইউপি সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ তোজাম্মেল হক কে মুঠোফোনে জানাই। সেই সাথে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নিজামুল হক রানাকেও বিষয়টি অবগত করি। এছাড়াও শাহবাজপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশের অফিসার এসআই পিয়ারুল ইসলামকে অবগত করি। বিষয়টি তাদের অবগত করার পর আমার এক আত্মীয় মৃত্যুবরণ করায় তার জানাজায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। এরপর ঘটনাস্থলে কি ঘটেছে আমার তা জানা নাই। পরবর্তীতে বিকেল পাঁচটায় জানাজা নামাজ শেষে পুনরায় আমি ঘটনায়স্থলে পৌঁছায় এবং সেখানে দেখি পুলিশ প্রশাসন ,আবু তাহেরের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বসুন্ধরা এনজিওর গ্রাহকগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মোঃ জুলফিকার আলী উপস্থিত ছিলেন। সকলে বসে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানের লক্ষে আগামী ২৪ মে একটি দিন ধার্য করা হয় এবং সে সিদ্ধান্ত একটি লিপিবদ্ধ করা রয়েছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, আবু তাহের লোক সমাজে বসে সিদ্ধান্তপত্রে সই করা সত্ত্বেও তিনি শিবগঞ্জ থানায় গিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। সেই সাথে আসামি করা হয়েছে আরো কয়েকজনকে। যা ওই এনজিওতে তাদের অর্থ রয়েছে। অন্য আসামিরা হল, কাগমারি গ্রামের আব্দুর রশিদের দুই ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন ও শামীম রেজা, আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ তৌহিদ আলী, নজরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলী।
তিনি আরো বলেন, মামলার কারণে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই পিয়ারুল ইসলাম আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। যা একজন ইউপি সদস্যের জন্য এটি লজ্জাস্কর ছাড়া কিছুই নয়। আমি একজন জনপ্রতিনিধি তাই জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং সমাজের বিশৃঙ্খল সৃষ্টি রোধে কাজ করে যাচ্ছি। যার ফলে গত ৮ মে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসুন্ধরা এনজিওর মালিক আবু তাহেরের মামলায় আমার নাম দেওয়া হয়েছে। যা আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্নতা করার ছাড়া অন্য কিছুই নয়। আমি ঘটনা সাথে জড়িত নয়, তারপরও তিনি আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে সমাজের বুকে অসম্মান করছেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
বসুন্ধরা এনজিও মালিক আবু তাহের বলেন, গত ৮ মে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সত্য। গাজলুর রহমানের নেতৃত্বে আমাকে মারধর করেছে। তাই আমি মামলা করেছি।
এব্যাপারে এসআই পিয়ারুল ইসলাম জানান, আমি গাজলুর রহমানকে কোন ধরনের হয়রানি করিনি। মামলার জন্য এজাহার দেয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply